হোয়াইক্যং মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলৎকারের অভিযোগ

 

মোঃ আবছার কবির আকাশ :

কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াক্যং কাঞ্জরপাড়া ইমাম বুখারী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নুরুল আমিন নামে ( ছদ্মনাম ) ১২ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ ওঠেছে হেফজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সঠিক বিচার না পেয়ে ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকিতে বর্তমানে এতিম শিশুটি প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির খারাংখালী মহেশখালীয়া পাড়ার এলাকার কবির আহমদের পুত্র দেলোয়ার হোসেন। সে একই ইউপির বড়খিল এলাকায় ইমাম বুখারী মাদরাসার হেফজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে ।

শনিবার (২৩ জুলাই ) বিকেল আড়াইটার দিকে মাদরাসার হেফজ বিভাগের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে।

ভিকটিম বলেন,দেলোয়ার হুজুর আমাকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকেন। ভাত খাওয়ানোর পরে পাশের রুমে আমাকে ঘুমাতে বলেন,আমি হুজুরের কথামত ঘুমাতে গেলে,হুজুর রুমে ডুকে আমাকে এসব কাজ করেছে। বলৎকার করার পরে এসব কথা কাউকে না বলার জন্য কঠোর নির্দেশ দেয় বলে জানায় ভুক্তভোগী।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মেম্বার ও এক সিনিয়র সাংবাদিক উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা উভয়ই স্থানীয় বিভিন্ন সাংবাদিককে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাটি সম্পর্কে কোন পত্রিকায় নিউজ না করতে নিষেধ করেছেন। এবিষয়ে থানায় বা বাইরে কোথাও বিচার শালিশের ব্যবস্থা না হওয়ার মত জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুঠোফোনে তাদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন এটি ভুল বুঝাবুঝি ছিলো,স্থানীয় ভাবে বসে এটি আমরা সমাধান করে ফেলেছি।

জানতে চাইলে মাদরাসা সুপার সাজেদ আল হাবিব মাদানি বলেন, ছাত্রটির অভিবাবক আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলো,আমি ছাত্রটি হতে নিজে বিস্তারিত জেনেছি এবং সত্যতা পেয়েছি,আমারা এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো।এবং প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হবে।

ঘটনা সম্পর্কে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি এখনো,তবে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.