নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ২ মাস ২২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সুস্থ হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ—সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার। সোমবার (১৭ জানুয়ারী) বিকাল ৩টার দিকে তিনি বীরের বেশে কক্সবাজার আসলে হাজারো নেতাকর্মী তাঁকে সংবর্ধনা দেন। কলাতলী ডলফিন মোড়ে মোনাফ সিকদারের গাড়ি বহর পৌঁছলে তাঁর অনুসারীরা শত শত মোটর সাইকেল, মাইক্রো, নোহা ও টমটম নিয়ে প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে নতুন বাহার ছড়াস্থ মরহুম একেএম মোজাম্মেল হকের বাসভবনের সামনে আসেন।
সেখানে জনতার উদ্দেশ্যে যুবনেতা শাহীনুল হক মার্শাল বলেন, “শ্রমিক লীগের প্রয়াত সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও মোনাফ সিকদারের উপর গুলি করার ঘটনা একই সুত্রে গাঁথা। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি। আশা করি মোনাফের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার সুষ্ঠু বিচার উপহার দেবে প্রশাসন। যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় তবে আমরা মনে করবো পেশীশক্তির কাছে তাঁরা মাথা নত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি সবার জন্য। নেতা হওয়ার জন্য সবার ভালবাস প্রয়োজন। পেশী শক্তি ও টাকা দিয়ে রাজনীতি হয় না। আমরা মানুষের ভালবাসা নিয়ে রাজপথে ছিলাম, থাকবো আজীবন।”
সংবর্ধনা জবাবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদার বলেন, “আমার প্রতি মানুষের ভালবাস দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হিসেবে যে রাজনীতি করেছি তাতে আমি সফল। আমার চাওয়ার কিছু নেই। হয়তোবার আমার কোটি টাকা নেই, কিন্তু হাজার হাজার মানুষের দোয়া এবং ভালবাসা আছে।”
তিনি বলেন, “আমার দ্বারা কোন মানুষের ক্ষতি হবে না। আমি মানবতার কাজ করি। যতোদিন বেঁচে আছি সবাইকে সাথে নিয়ে মানবতার কাজ করে যাবো।”
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোনাফ সিকদার। পথিমধ্যে পটিয়া, সাতকানিয়া—লোহাগাড়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামু ও বাংলাবাজারসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সংবর্ধিত হন এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
উল্লেখ্যঃ ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের শুটকী মার্কেটের সামনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ—সভাপতি ও বর্তমান যুবলীগ নেতা আবদুল মোনাফ সিকদার মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ ২ মাস ২২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সুস্থ হয়ে কক্সবাজার ফিরেছেন। তাঁর উপর হামলার ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.