সীমান্ত উত্তেজনায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিনের পর্যটকরা

মোঃ নেজাম উদ্দিন,কক্সবাজারঃ
গত সোমবার সন্ধ্যায় ( ১৪ নভেম্বর) সীমান্তে সন্ত্রাসীদের হামলায় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজওয়ান (৩৪) নিহত হওয়ার পর সীমান্ত এলাকা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে পারে কক্সবাজার সীমান্তে সেন্টমার্টিন যাওয়া আসা করা পর্যটকদের উপর এমনটা মনে করছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল। গত মাস থেকে কক্সবাজার থেকে সীমান্ত এলাকায় সেন্টমার্টিনে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামের একটি বিলাসবহুল জাহাজ চলমান রয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে যদি সীমান্ত এলাকায় পর্যটক যাতায়াত করে তবে পর্যটকগণ মারাত্বক ঝুকিঁতে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তারা ।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন জানান, যেহেতু এখন সীমান্ত উত্তেজনা রয়েছে এবং একজন আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে এমন সময় সীমান্ত এলাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক না যাওয়া ভাল। সেন্টমার্টিন মায়ানমার ঘেষা হওয়ার কারণে ঐ দেশের সন্ত্রাসী বাহিনী যেকোন মুর্হুতে পর্যটকদের উপর হামলা করার চেষ্টা করতে পারে।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন কক্সবাজার (টুয়াক) এর সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিবুর রহমান টিটু জানান, বর্তমানে কর্ণফুলী এক্সফ্রেস প্রতিদিন ৫শ থেকে ৭শ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে । তবে তারা সমুদ্র পথ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে কোন ধরনের সমস্যা নেই । সীমান্ত এলাকা সেন্টমার্টিনে জাহাজটি নোঙ্গর করা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন যেখানে নোঙ্গর করা হয় তা মায়ানমার সীমান্ত থেকে দূরে। যদি মায়ানমার সন্ত্রাসীরা হামলা করে তার দায়ভার সরকারের।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মোঃ আবু সুফিয়ানকে পর্যটক নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে কথা বলতে ফোন ও ম্যাসেজ করা হলেও কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.