রোহিঙ্গা নারী পাচারকালে দালাল আবছার বিমানবন্দরে আটক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে রোহিঙ্গা নারী পাচারকালে মানব পাচারকারী সন্দেহে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী গ্রামের মৃত আব্দুর সোবাহানের ছেলে আবছার প্রকাশ দালাল আবছারকে আটক করেছে ১৪ এপিবিএনের বিমানবন্দর পুলিশ ক্যাম্প।

শনিবার (১২জুন) বিকালে তাকে আটক করা হয়।
এপিবিএন সুত্রে জানা গেছে বিকাল ৪টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার বিমান বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট নং-BG-434 ঢাকা গামী যাত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে পাচার করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে অভিযান  পরিচালনা করে এপিবিএন পুলিশ। এসময়  রোহিঙ্গা হুমায়রা আকতার ওরফে সুমাইয়া(২০) পিতা-জালাল উদ্দিন, মাতা- ছেমন আরা, জন্মনিবন্ধন ঠিকানা- পূঃ পান খালী,হ্নীলা, টেকনাফ, কক্সবাজার, আটক করা হয়। তার ভাষ্যমতে সে রোহিঙ্গা। বর্তমান অবস্থান মোছনি ব্লক- H, রোহিঙ্গা ক্যাম্প। জানা যায় তারা কক্সবাজার বিমান বন্দর হতে ঢাকা বিমান বন্দর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরের ভিতর বোর্ডিং পাশ গ্রহনের পর এপিবিএন পুলিশ দেখে সন্দেহ জনক আচরন করছিল।এপিবিএন পুলিশ  দুই জনকে যাত্রীর আইডি কার্ড দেখাতে বললে আবছার যাত্রী আইডি কার্ড দেখালেও তার সাথে আসা মহিলা যাত্রী-হুমাইরা আক্তার,ওরফে সুমাইয়া কোন ধরনের পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় । জিজ্ঞাসাবাদে সবার সামনে সে নিজেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করে এবং সে জানায় তাকে আফসার কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে নিয়ে আসছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আফছার উদ্দিন মহিলাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নিয়ে ঢাকায় কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যাচ্ছে স্বীকার করেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে দালাল আবছার ২০০১ সালে সৌদি আরব থাকা কালিন রাষ্ট্রদ্রৌহি কাজের জন্য থাকে সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং তাকে সৌদি সরকার সৌদি আরব প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।
দেশে ফিরে এলাকায় কিছুদিন থাকার পর ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় আর ইসলাম নামের একটি হোটেল অবস্থান করে সৌদি আরবে আবারো যোগাযোগ শুরু করে টেকনাফ সিমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে নামে বেনামে পাসপোর্ট করে বিদেশে পাচার করে আসছিল।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্ব পানখালী একজন জানান, দালাল আবছার এর ছোট চারভাই ইকবাল, শাহিন, স্ইফুল, শাহাবুদ্দিন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।
সম্প্রতি ছোটভাই ইকবাল ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার হয়।এবং আরেক ভাই শাহিন নিজ গ্রাম পূর্ব পানখালী গ্রাম থেকে ইয়াবাসহ আটক হয়েছিল।
জানা গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডাকাতদলের সাথে দালাল আবছারের আতত থাকার কারনে স্থানীয়রা তার বিরোদ্ধে মুখ খোলা সাহস পায় না।
এদিকে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির উল গীয়াস জানান, আবছার নামের একজনকে বিমানবন্দর থেকে এপিবিএন পুলিশ আটক করে আমাদের হস্তান্তর করেছে।
আমরা তার বিরোদ্ধে সব বিষয় খতিয়ে দেখছি।
যদি মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

 

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.