কফিল উদ্দিন রামু:
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ৮ম দিনে রামুতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বিভিন্ন সড়কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সড়ক, মহাসড়ক মহড়া দিতে লক্ষ্য করা গেছে।
সারাদেশের ন্যায় রামুতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের এই মহড়া। তাছাড়া রামুতে গেল ০৬ ও ০৭ জুলাই প্রর্যায়ক্রমে ১৩,০৮ জনের শরীরে কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। রামুর লোকসমাজকে এই মরণ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে মাইকিং করে সড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিকে ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন রামুর কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ। এসময় তিনি রামু চৌমহনী স্টেশন সহ বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তাছাড়া রামু বাইপাস,চৌমহনী স্টেশন,
চাকমারকুল,রশিদনগর, চাবাগান, রামু মরিচ্যা সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট কারন দেখাতে না পারলে বিভিন্ন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে,এবং যত্রতত্র চলাফেরা করার কারনে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাজ থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে জব্দকৃত গাড়ির চালকদের উপজেলা প্রশাসন রামুর পক্ষ থেকে সার্বিক ত্রানের আওতায় আনা হচ্ছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবু প্রণয় চাকমা জানান,সরকার কতৃক ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা শুরু থেকে মাঠে ছিলাম এবং ১৪ জুলাই পর্যন্ত মাঠে আছি। সবাইকে সচেতন করার জন্য সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি, তাছাড়া যেসকল গাড়িগুলা জব্দ করা হচ্ছে সকল ড্রাইভার সহ কর্মহীন হয়ে পড়া রামুর বিভিন্ন শ্রেনির মানুষের মাঝে সর্বাত্মক ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে রামুর প্রায় সকল বাজার পরিদর্শনে স্বাস্থবিধি মানতে দেখা মেলেনি কাউকে,যত্রতত্র আড্ডা ও মজামাস্তিতে ব্যস্ত সবাই,তাছাড়া বাজার কমিটির নানান ব্যর্থতার কারনে সব সময় থাকে জনসমাগম। নেই কারো মুখে সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক।
তাছাড়া রামুতে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে সর্বাত্মক কাজ করছে ১০ পদাধিক ডিভিশন সেনাবাহিনী,৩০ বর্ডার গার্ড বিজিবি,রামু থানা পুলিশ,রামু উপজেলা স্কাউটস, আনসার ব্যাটালিয়ন ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.