মহেশখালীতে আচরণবিধি ভঙ্গ করে মাইকিং,

জনমনে অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক পড়েছে। কখনও প্রার্থীরা, কখন তাদের পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আচরণবিধি না মেনে প্রচার চালাচ্ছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জেল-জরিমানা করার ক্ষমতা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন অফিসার বলছেন, মাঠে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটরা নজরদারি করছেন। এছাড়া, যেসব অভিযোগ আসছে তদন্ত সাপেক্ষে সেগুলোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত কয়েকদিন সরেজমিন মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা গেছে, প্রচারে এক ওয়ার্ডে একাধিক মাইকের ব্যবহার, নির্ধারিত সময়ের আগে ও পরে উচ্চ স্বরে মাইকের ব্যবহার, ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, দেয়ালে পোস্টার লাগানো, বিধি ভঙ্গ করে পোস্টার ছাপানো, মটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহনের শো-ডাউন, মিছিল ও পথসভা করা করে যানজটের সৃষ্টি করাসহ নানাভাবে আরণবিধি লঙ্ঘন করছেন প্রার্থীরা।

নির্বাচনে আচরণবিধি অমান্য করলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলসহ নিবন্ধিত দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার করারও বিধান করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জেল-জরিমানা করার ক্ষমতা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। তবে প্রার্থীদের দাবি, তারা আচরণবিধি মেনেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রচারণার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এই একদিনেই চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থীদের প্রচারণার সময় দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। ভোট প্রার্থনা করতে প্রার্থীরা প্রধান সড়ক ব্যবহার করেন, ফলে যেদিকেই তারা যাচ্ছেন, তার আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে সাধারণ ভোটাররা।

এছাড়া অনেক প্রার্থী যানবাহন নিয়ে গণসংযোগ করছেন। বিধি ভেঙে ছাপাচ্ছেন পোস্টার-ব্যানার। এমনকি বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই নিয়মের অতিরিক্ত ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে এসব বিষয় নিয়ে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসার জুলকার নাঈম জানান, আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া মাত্র ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, কোন প্রার্থী নির্বাচনী মাইকিং দুপুর ২ টার আগে এবং রাত ৮ টার পরে করতে পারবেন না। এবং এই বিষয়ে প্রার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।

তবে, মহেশখালী পৌরসভা সহ অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা ভঙ্গের চিত্র। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মাইকিং করেই যাচ্ছেন প্রার্থী ও তারদের সমর্থকরা।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.