ফাইনালে বন্যা ও হীরামনি

ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ ‘আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ’র মেয়েদের রিকার্ভ ও কম্পাউন্ডে ফাইনালে উঠেছে হীরামনি ও বন্যা আক্তার। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) মওলানা ভাষানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মেয়েদের রিকার্ভের সেমিফাইনালে স্বদেশী রাদিয়া আক্তার শাপলাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন হীরমনি। অপরদিকে মেয়েদের কম্পাউন্ডে সুস্মিতা বনিককে ১ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন বন্যা।

শেষ চারের লড়াইয়ে বিকেএসপির রাদিয়া আক্তার শাপলাকে ৬-২ সেটে হারান হীরমনি। আর কম্পাউন্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুস্মিতা বনিককে ১৩০-১২৯ পয়েন্টে হারান বাংলাদেশ আনসারের বন্যা আক্তার।

ফাইনাল নিশ্চিতের পর হীরামনি বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে আমি শক্তিশালি প্রতিপক্ষের সাখে লড়াই করে জিতেছি। সে অলিম্পিকে খেলেছে। তাকে হারিয়েই আমি সেমিতে উঠেছি। সেমিফাইনালে দেশের শাপলাকে হারিয়েছি। নিজেদের মধ্যে খেলা ছিল তাই ততটা চাপ ছিল না। ফাইনালে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো।’

ফাইনালে আজারবাইজানের রামাযানোভাকে মোকাবেলা করবেন হীরামনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো রামাযানোভার বিপক্ষে খেলিনি। তবে শিরোপা জিততে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো।

কম্পাউন্ড ইভেন্টের ফাইনাল নিশিচ্ত করা বন্যা বলেন, ‘খুব ভাল লাগছে যে বাংলাদেশের হয়ে ফাইনালে উঠেছি। এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য স্বর্ণ জেতা। ফাইনালে ইরাকের ফাতিমা আল মাশাদানির বিপক্ষে লড়বেন বন্যা।

রিকার্ভ ডিভিশনের পুরুষ এককে ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে বাংলাদেশের মো. রুমান সানা ভূটানের ‘লাম’ এর নিকট ৬-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে পরাজিত হন। গোল্ড মেডেল ম্যাচে সৌদিআরবের ফারেস আলোতাইবি ভূটানের নিমা এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

কম্পাউন্ড ডিভিশনের পুরুষ এককে গোল্ড মেডেল ম্যাচে মালয়েশিয়ার দানিয়াল একই দেশের ফিরদাউস এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে বাংলাদেশের মিলন মোল্লা (১৪১-১২৯) স্কোরের ব্যবধানে ইরাকের ওয়ালিদকে হারান।

উল্লেখ্য, ১৪টি দেশের অংশগ্রহণে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ‘আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ’। ১৭টি দেশের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভিসা জটিলতায় আসতে পারেনি পাকিস্তান ও ইরান। আসেনি আরব আমিরাতও।

বাংলাদেশের আরচারির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ৬২ জন আরচার। এদের মধ্যে ৪৬ পুরুষ ও ১৬ মহিলা আরচার। বাংলাদেশ ছাড়া অপর দেশগুলো হলো- আজারবাইজান, ইরাক, উগান্ডা, সৌদি আরব, সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, মরোক্কো, নেপাল এবং ভুটান।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.