ফলজ ও বনজ গাছ কেটে বনভুমি উদ্ধার

মোঃ নেজাম উদ্দিন,
কক্সবাজারে স্থানীয়দের লাগানো ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে প্রায় ১০ হেক্টর বনভুমি উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২৮মে (শনিবার)কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ উপজেলার মেহেরঘোনা রেঞ্জে ধলিরছড়া বিটের হরতরা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে এই বন ভুমি উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মেহেরঘোন রেঞ্জ রিয়াজ রহমান , সাথে ছিলেন ধলিরছড়া বিট কর্মকর্তা আব্দুর রহিম , ফরেষ্ট গার্ড় , ভিলেজারসহ বনবিভাগের সংশ্লিষ্টগণ। তবে কে বা কারা এই বাগান করেছে তা জানেন না বলে জানান মেহেরঘোন রেঞ্জ কর্মকর্তা।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ মেহের ঘোনা এলাকার হরিতলা এলাকায় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে ফলজ ও বনজ চারা রোপণ করা হয়েছিল্ । তা জানতে পেরে গত শনিবার অভিযান পরিচালনা করে তা দখল মুক্ত করা হয়। সেখানে সল্প মেয়াদি বনায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
হরিতলার এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে বনভিাগের জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। তা দেখে স্থানীয় সাধারণ মানুষ খালী জায়গায় আম, লিচু, জাম, পেয়ারা, লেবু,আমলকিসহ ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু বনবিভাগের লোকজন এসে গাছগুলো কেটে ফেলে যা সরকারি সম্পদ হিসাবে রাখা যেত।
নাম, প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় হরিতলার প্রবীন মুরব্বী জানান, বনবিভাগের জায়গা তা ঠিক আছে । সরকারি জায়গাতে কোন কিছু রোপণ করা হলেও তা সরকারের। সেখান থেকে হয়তোবা স্থানীয়রা ফল খেতে পারবে। গাছ গুলো না কেটে রেখে দেওয়া উচিৎ ছিল বনবিভাগের।
মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমান জানান, বেশকিছুদিন যাবত ধলিরছড়া এলাকায় প্রায় ১০ হেক্টর জায়গা জুড়ে ফলজ গাছের বাগান করা হয়েছে।সম্প্রতি তা ঘেরাও দিয়ে ঘর করার পায়তারা করলে বনবিভাগ অভিযান চালিয়ে প্রায়

১০হেক্টর বনভুমি উদ্ধার করে।


কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, রেঞ্জ কর্মকর্তার উচিৎ ছিল গাছগুলো না কাটার। গাছ না কেটেও বনভুমি উদ্ধার করা যায়। এটি সরকারি সম্পদ ছিল। কেন সে গাছ কেটেছে এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.