পাসপোর্ট আবেদন কারীরা আমার মেহমান তাদের সাথে আমি তেমনই ব্যবহার করিঃসহকারি পরিচালক আবু নাঈম মাসুম

গতকাল ৫ই ফ্রেরুয়ারী রবিবার  ওয়ান নিউজ ডট কম ডট বিডি’র একটি ঠিম কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস এর সহকারি পরিচালক জনাব আবু নাঈম মাসুম’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস নিয়ে কথোপথন হয়। তা হুবহু ভিজিটরদের জন্য তুলে ধরা হলো, টিমে নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার জনাব নেজাম উদ্দিন।

সুন্দর সাজানো কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস, সামনে ফুলের বাগান ডুকতেই কড়া নিরাপত্তা পরিচয় দিয়ে ভিতরে গেলাম, বসে পড়লাম অপেক্ষমান চেয়ারে পাশে বসা কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলাম এইখানে কোন প্রকার টাকা দিতে হয় কানা বা আপনারা দিয়েছেন কিনা তিনি বললেন না কোন প্রকার টাকা দিতে হয়না শুধু সরকারী ফি টা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রনিয়ে ফরম পূরন করে দিন তা হলে হয়ে যাবে, এইদিকে দুইমুখী তোপের মুখে পড়েছে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজন, একদিকে পাশপোর্ট অফিস চাইছেন দালাল মুক্ত অফিস, অপরদিকে দালালচক্র আছেন তাদের চক্র চালিয়ে যেতে এমন এক প্রশাসনিক দপ্তরের নাম কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এতে সাধারন জনগন পড়েছে বিপাকে এ নিয়ে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক আবু নাঈম মাসুম বলেন পাসপোর্ট করতে আসা প্রত্যেক জন আমার অফিসের মেহমান, তাদের সাথে আমি মেহমান সুলভ আচরন করি এবং সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি,

গতকাল ৫ই ফ্রেরুয়ারী সোমবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিসের সহকারি পরিচালক এর সাথে দেখা করতে ওয়ান নিউজ ডট কম ডট বিডি’র একটি ঠিম পাসপোর্ট অফিসে যান, মুখোমুখি হন সহকারি পরিচালক এর সাথে, তিনি বলেন সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির দর্পন। আপনাদের মাধ্যমে জাতি দেশের ভাল মন্দ দেখতে পাবে, তিনি বলেন, আপনারা ঘুরে দেখুন এবং যারা পাসপোর্ট করতে এসেছেন তাদের জিজ্ঞাসা করুন কোন প্রকার টাকা আদান প্রদান হয় কিনা, এদিকে ওয়ান নিউজ ঠিম বিভিন্ন সেক্টর ঘুরে দেখেন এবং পাশপোর্ট করতে আসা লোকদের সাথে কথা বলেন, চোফল্নড়ী হতে আসা প্রিয়তোষ দে জানান আমি ফরম জমা করার জন্য এসেছি কোন প্রকার জামেলা নেই এবং কোন অতিরিক্ত টাকা ও দিতে হচ্ছেনা আমি মনে করি এমন চলতে থাকলে দুর্নীতি থাকবেনা। অপরদিকে হোয়ানক মহেশখালী হতে আসা খুলু মিয়ার ছেলে সিরাজুল আলম জানান, আমরা দালাল কে দিয়ে পাসপোর্ট করছি না আমরা আমাদের পাসপোর্ট নিজেরাই ফরম পুরন করে এবং নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে পাসপোর্ট এর ফরম জমা করার জন্য এসেছি এবং অফিস কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। অন্যদিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করতে লাইনে দাড়ানো ঈদগাও সদর হতে আসা নুরুল হক জানান এইখানে দুর্নীতি হচ্ছে না তবে বাইরে যারা দালালী করছে তাদের যদি থামানো না যায় তা হলে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে, অন্যদিকে আরেক জন নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক জানান, কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতিমুক্ত তখনিই করা যাবে যখন বাইরের দালাল বন্ধ করা যাবে, তিনি আরো বলেন, এখানে বড় সাহেব ঘুস খান না কিন্তুু অন্য যারা আছেন তাদের প্যাকেট ঠিক তাদের কাছে পৌছে যায় এবং তাদের সাথে দালালদের গোপন আতত আছে বলে জানান। পাসপোর্ট করতে আসা চকরিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মরজিনা আক্তার জানান, পাসপোর্ট করতে এইখানে টাকা দিতে হয়না ঠিক তবে পুলিশি হয়রানি থামানোর কেউ নেই। পুলিশি তদন্ত এর জন্য গেলে তারা মোটা অংকের টাকা চেয়ে বসে দিতে অপারগ হলে তদন্ত রিপোর্ট দিতে দেরি করে অথবা রিপোর্ট এ ভুল তথ্য দিয়ে সমস্যায় ফেলে দেয় বলে জানান। অপরদিকে ওয়ান নিউজ ঠিম অফিসের বিভিন্ন সেক্টর ঘুরে সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম এর সাথে কথা বলার জন্য উনার অফিসে যান, গিয়ে দেখেন তিনি পাসপোর্ট করতে আসা লোকদের সাথে বিভিন্ন্ সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন, অফিসে গিয়ে বসে উনার কাছে অফিসে লোকজন কত আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে কথা বলবো না অন্য কোন প্রশ্ন করুন, ওয়ান নিউজ সদস্যরা বলেন,  আনসার বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর অফিস সহায়ক আবু বক্কর এর পাশের চেয়ারে বসে কাজে সাহায্য্ করছেন। প্রশ্ন করা হলে আনসার বাহিনী কি আপনার অফিসের নিরাপত্তার কাজের জন্য নাকি অফিসিয়াল কাজ ও করতে পারবে? তিনি বলেন, আমি যেকোন কিছুর বিনিময়ে আমার অফিসকে চালু রেখেছি এবং সকলকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমি চাই এই কক্সবাজার পাশপোর্ট অফিস দুর্নীতি মুক্ত করতে এতে সকলের সাহাজয্য প্রয়োজন। বাইরে যারা দালালচক্র কাজ করছে তাদের কি দমন করা সম্বভ নয়? এই ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন যদি আমাকে সাহায্য করে তা হলে এটিও বন্ধ করা যাবে, তিনি আরো বলেন পাসপোর্ট অফিসে আসা আবেদন কারিরা আমার মেহমান তাদের আমি এমনভাবে আচরণ করি এবং প্রতিদিন যারা আসেন তাদেরকে দালাল হতে দুরে থাকার জন্য বলছি তাদের প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে আপনাদের যদি কোন সমস্যা থাকে তা হলে আমাকে জানাবেন আমি সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবো।  তিনি আরো বলেন, দরজার সামনে অভিযোগ বক্স আছে কোন প্রকার অভিযোগ যদি থাকে তা হলে লিখে বক্সে ড়ালতে পারেন, এই বক্সের চাবি শুধু আমার কাছে থাকে, অফিসের কারো উপর যদি কোন অভিযোগ হয় তাহলে সাথে সাথে এর অ্যাকশন নেওয়া হবে বা আমার উপরি মহলকে জানাবো, এদিকে সুত্র জানা যায় দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং এজন্য যত টাকা খরছ হয় তারা করতে রাজি আছেন বলে সুত্র জানায়। কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট সুত্র জানায় ২০১৬ সালে ২৬শে জুন টেকনাফের সাবরাং এর কাউসার নামের পরিচয়ে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেন পরে পুলিশি তদন্তে ধরা পড়ে তিনি মায়ানমার এর নাগরিক। এইভাবে বিভিন্ন কলাকৌশল করে রোহিঙ্গারা ও পাসপোর্ট নেওয়ার পাঁয়তারা করছে এবং এর মুল ইন্দনদাতা দালালচক্র ও কিছু অসৎ কর্মচারি বলে মনে করেন সচেতন মহল।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.