মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজার জেলায় ভোটার কার্যক্রম সহজ করা হয়েছে । আগে যেখানে নানা ধরনের কাগজ নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতো এখন তা ধ, ন ,প ক্যাটাগরি ভাগ করে যেন জেলার মানুষ সহজভাবে ভোটার হতে পারে সেভাবে কাজ করছে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস । সভায় জানানো হয়, নতুন ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সহজিকরণের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পদক্ষেপগুলো হলো- এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব সনদ না থাকলে, এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব অনলাইন সনদ। ভেরিফাইয়েবল ছজ কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। ভেরিফাইয়েবল ছজ কোডযুক্ত অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র উল্লেখ্য, সরকারী চাকরিজীবীর সন্তান “অ” ক্যাটাগরিভূক্ত হবে। এক্ষেত্রে সরকারী চাকরির প্রমাণস্বরূপ অফিস প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত সার্ভিস বহির কপি, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র প্রদান করতে হবে। এছাড়া এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব সনদ না থাকলে, ভেরিফাইয়েবল ছজ কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। ভেরিফাইয়েবল ছজ কোডযুক্ত অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ। বাবা-মায়ের অঋওঝ যাচাই (আঙ্গুলের ফিংগার যাচাই রিপোর্ট)। স্থায়ী বাসিন্দা সনদ (জেলা প্রশাসন বা তার প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত)। ভূমিহীন সনদ, অনলাইন ভেরিফাইয়েবল ভূমি উন্নয়ন করপ্রদানের রশিদ/পর্চা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)। ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে) । উল্লেখ্য, বাবা-মায়ের মধ্যে একজন বেঁচে থাকলে এবং তিনি ভোটার হয়ে থাকলে তার অঋওঝ যাচাই (আঙ্গুলের ফিংগার যাচাই রিপোর্ট এবং অন্যজনের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে। আর বাবা-মা কেউ বেঁচে না থাকলে উভয়ের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে। তাছাড়া যে সকল বাসিন্দা ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ক্যাটগরি “অ” এবং ক্যাটগরি “ই” এর আওতায় পড়বে না,তাদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম উপজেলাভিত্তিক গঠিত বিশেষ কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
অন্যদিকে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন। কক্সবাজারের ভোটারগণ যারা আছে তাদের ভেতর যদি কোন রোহিঙ্গা থাকে তবে ভোটার বাতিল করা হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যেসব রোহিঙ্গা ভোটার হয়েছে তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা । তিনি বলেন, কক্সবাজারে পৃথিবীর সবচাইতে বড় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা । এই জেলায় ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে । অনেকেইে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে জনপ্রতিনিধি বা দালালের সহযোগিতায় ভোটার হয়েছে ্ তাদের ুচহ্নিত করে ভোটার বাতিল করা হবে। যারা রোহিঙ্গা ভোটার হতে সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের কঠোর অনলাইন প্রক্রিয়ার কারণে এখন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছাড়া কেউ আর ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ভোটার নিবন্ধন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, আগে কক্সবাজারে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে ভোটার হয়েছেন। এতে জনপ্রতিনিধি ও দালালদের হাত ছিল। তবে এখন নতুন করে ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে রোহিঙ্গাদের ঢুকে পড়া ঠেকাতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেউ আত্মীয়-স্বজনের পরিচয়ে ভোটার হয়েছে কি না, তা নিয়েও দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ভোটার বা জন্মনিবন্ধন তৈরি করতে সাধারণ মানুষকে যাতে হয়রানির শিকার না হতে হয়, সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট। এ সময় নির্বাচন অফিসার নাজিম উদ্দিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দালালদের মাধ্যমে যাতে রোহিঙ্গারা আর ভোটার হতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এসময় সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল আলম, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ বেলালসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.