‘জঙ্গিবাদ নির্মূল করে বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের জায়গা হবে না। আজ বিশ্বব্যাপী নতুন উপসর্গ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকাসক্তি দেখা দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য সকলকে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। জঙ্গিবাদ নির্মূল করে বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘এখন বিশ্বব্যাপী নতুন একটা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। সেটা হচ্ছে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এবং মাদকাসক্তি। এর বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে সকলকে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।’তিনি বলেন, আমাদের সরকার এ ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেখানেই হোক বাংলাদেশে এই ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের জায়গা হবে না। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ যদি আমরা গড়তে চাই তাহলে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, গবেষণা বাড়ানো এবং বিজ্ঞানের চর্চা বৃদ্ধি করা। ইতোমধ্যেই আমরা বায়ো-টেকনোলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপলায়েড সায়েন্স এবং খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে গুরুত্ব প্রদান করেছি। যে কারণে আমরা আমরা আজ খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশ, মৎস উৎপাদনে (মিঠা পানির মাছ) উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছি। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাংসসহ অন্যান্য উৎপাদনেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এসব উন্নয়নগুলো এমনিতেই হয়নি, আমি বলবো সবই বিজ্ঞানের অবদান, গবেষণার অবদান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা কেবল দেশে না, বিদেশেও পড়ালেখা করে মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। এরা (শিক্ষার্থীরা) যেন কেউ বিপথে না যায়, এ ধরনের জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসে যেন সম্পৃক্ত না থাকে, বিশেষভাবে নজর দেবার জন্য শিক্ষক, অভিভাবক থেকে শুরু করে সমাজের সকল সচেতন মানুষের প্রতি আমি আবেদন জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এই সচেতনতা তৈরি করতে পারলে নিশ্চয়ই আমরা আমাদের দেশকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে পারব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এটা করেছি আমরা এ কারণে যে, এর পূর্বেও আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে গবেষণার জন্য অনুদান দিয়েছিলাম। অনেকেই চলে গিয়েছিলেন বিদেশে, পড়াশুনা শুরুও করেছিলেন। ক্ষমতার পরিবর্তনে ২০০১ সালে যখন জামায়াত-বিএনপি আসল, তারা এসব বন্ধ করে দিল। যারা ফেলোশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন, অর্ধেক দেশে ফিরে আসলেন।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেন এ রকম আর কেউ করতে না পারে, সেজন্য আমরা ফান্ডিং করে দেব, যাতে করে সেখানে পর্যাপ্ত টাকা থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী ‍আরও বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদ এটা ঠিক। কিন্তু আমি মনে করি, পরিকল্পিতভাবে এই সীমিত সম্পদ যদি আমরা বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমাদের কারও মুখাপেক্ষী হয়ে চলতে হবে না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, মাথা উঁচু করে বিশ্বে এগিয়ে যাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞানী ও গবেষক এবং মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সন্তানদের প্রতি অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের নজর রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.