‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে প্রতিপক্ষের হয়েও ব্যাট করলেন মুশফিক

ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ এটা ঠিক প্রতিযোগিতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ম্যাচ ছিল না। ছিল ব্যাটসম্যান-বোলার-ফিল্ডাররা আসলে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে তা একটু খতিয়ে দেখার ম্যাচ। দুপুর ১২টায় কোনো ম্যাচ শুরু করলে শেষ পর্যন্ত সেটি কোথায় গিয়ে কি বাঁক নেই মৌসুমে সেটা পরীক্ষার। টুকটাক আরো কিছু ব্যাপার ছিল। সেই ম্যাচে শনিবার তামিম ইকবাল সেঞ্চুরি করলেন, তারই লাল দলের সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরির কাছাকাছি ইনিংস খেললেন। দুইদলের পেসাররা পেলেন ম্যাচে পড়া ১৬ উইকেটের ১৪টি শিকার করলেন। আর ম্যাচের ফল? সেটা গৌণ যদিও। মাশরাফির সবুজ দলকে সাকিবের লাল দল হারিয়েছে ১৩৭ রানে। মজার ব্যাপার হলো, দুই দলের হয়েই ব্যাট করেছেন মুশফিকুর রহীম।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুই আন্তর্জাতিক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের দল নেমেছিল লড়াইয়ে। সেখানে সাকিবের লাল দলের ওপেনার তামিম ইকবাল করলেন সেঞ্চুরি। ১১৯ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৪ রান করে অবসর নেন। ৫ নম্বরে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াধ মারমার কাটকাট ব্যাটিং দেখালেন। ৭৫ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৮৭ রান করেছেন। ৬ উইকেটে ৩২০ রান করে লাল। জবাবে, মাশরাফির সবুজ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পেসারদের সামনে। ৪৩.২ ওভারে ১৮৩ রানে অল আউট তারা। লালের হয়ে চারে নেমে গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন মুশফিক। হন্তারক ছিলেন তাসকিন আহমেদ। পরে বিপর্যস্ত সবুজের হয়ে ৬ নম্বরে ব্যাট করে ৫৮ বলে ৪৪ রানে অফরাজিত থেকে যান মুশফিক।

এই ম্যাচে কিছু ব্যাপার দেখে নেওয়া গেলো। এই যেমন ওপেনিংয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে সৌম্য সরকারের জায়গায় এনামুল হক বিজয়ের জোর সম্ভাবনা তামিম ইকবালের সাথে ওপেন করার। এখানে তাই ঘটেছে। তবে ২০ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছেন এনামুল। ইমরুল কায়েস খেলেননি। সবুজ দলের হয়ে ওপেন করে মোহাম্মদ মিঠুন ৩২ ও সৌম্য সরকার ১৮ রান করেছেন। ওই দলে তিনে নেমে লিটন দাস ৭ রানে আউট।

পজিশনের হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে সাকিব তিন নম্বর জায়গাতে বুঝি ফিরছেন সামনের সিরিজে। লালের নেতা অবশ্য ২৪ রান করেছেন ৩৬ বলে। সাব্বির রহমান ৬ নম্বরে খেলে ২০ রান করেছেন। তার পরই নেমে আবুল হাসান রাজু ১৯ বলে ৩৫ করেছেন শেষটায়। মাশরাফি উইকেট পাননি। ৯ ওভারে ৮৭ রান দিয়ে ম্যাচের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার হয়েছেন। তার দলের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান কোটা পূরণ করে ৪৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। সাইফ উদ্দিন ৯ ওভারে ৪৪ রানে ২ উইকেট তুলে নিলেন। আর তাসকিনেরও শিকার ২ উইকেট, ৬ ওভারে, ৪৩ রান দিয়ে।

ওদিকটায় লাল দলের পেসাররা আসলে জাতীয় দলের একাদশের জন্য বিবেচিত বোলার নন আপাতত। কিন্তু তারাই ১১৫ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন সবুজের। সেই কারণেই দলটার ইনিংস আর দাঁড়ায়নি। রুবেল হোসেন ৩ উইকেট শিকার করেছেন ৭ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে। আবু হায়দার রনিরও শিকার ৩ উইকেট, ৯.২ ওভারে ৫১ রানের বিনিময়ে। আবু জায়েদ রাহী ও আবুল হোসেন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। সাকিব বোলিং ইনিংসের সময় ছিলেন না। মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ ওভারে ৩০ রান দিলেও উইকেট পাননি।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.