গোলদিঘীর সৌন্দর্য্য বর্ধন, মাস্টার প্ল্যান ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা- ১৯৯৬ নিয়ে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের সাথে কউকের মতবিনিময় সভা সম্পন্ন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

গত ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখ সন্ধ্যায় ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের জনসাধারনের সাথে কউকের মাস্টার প্ল্যান, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা- ১৯৯৬ এবং গোলদিঘীর সংস্কার ও সৌন্দর্য্য বর্ধন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা গোলদিঘীর পাড়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান বলেন, আমার অন্যতম দায়িত্ব হলো এই শহরকে আধুনিক পর্যটন নগরী গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি যেকোন মূল্যে আমি কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে উপহার দিব। এ জন্য সকল সরকারি-বেসরকারী দপ্তর/সংস্থার সমন্বয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। তিনি আরো বলেন, প্রথম ধাপ হিসেবে আমরা লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা পুকুর সংস্কারের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করতে যাচ্ছি। প্রকল্পটি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে। তাছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য শহরের ০৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৩টি দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য্য স্থাপন করা হয়েছে। যা সবশ্রেণীর মানুষের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও তিনি হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাস স্ট্যান্ড) প্রধান সড়ক এবং সুগন্ধা পয়েন্ট-সুগন্ধা মোড়-লাবনী পয়েন্ট সড়কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সড়কগুলো সকল সেবাসহ ওয়াকওয়ে এবং সবুজ বেস্টনী সহকারে সংস্কারসহ প্রশস্তকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে; যা একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। প্রকল্পগুলো চূড়ান্ত অনুমোদিত হলে আমরা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সুমেশ্বের চক্রবর্তী বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অত্র এলাকার সন্তান হিসেবে যে পরিমাণ দরদ ও আন্তরিকতা নিয়ে অত্র এলাকর পরিবর্তনের জন্য নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং অত্র এলাকার পক্ষ থেকে অভিবাদন জানাই। তিনি কউকের এই অগ্রযাত্রায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ^াস প্রদান করেন।

৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজবিহারী দাশ বলেন, কউক চেয়ারম্যান গোলদিঘীর সৌন্দর্য্য বর্ধনে যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন অত্র এলাকার উন্নয়নের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমার এবং আমার ওয়ার্ডের জনগণের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।

৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন বলেন, এই প্রকল্পসমূহ গ্রহনের শুরু থেকে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ইমারত বিধিমালা ১৯৯৬ নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অথরাইজ্্ড অফিসার কাজী ফজলুল করিম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট রনজিত বড়ুয়া, ৭, ৮ ও ৯নং আসনের মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা খানম। উক্ত মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অত্র এলাকার জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.