খুটাখালীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি জবর দখলের পায়তারা

বার্তা পরিবেশকঃ

চকরিয়ার খুটাখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহামদের পরিবারের প্রায় ২০ একর মৎস্য ঘের জবর-দখল নিতে পায়তারা করছে খুটাখালী শিয়াপাড়া এলাকার আলী হোসেন এর ছেলে জসিম উদ্দিনসহ তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বহিনীরা। জমি জবর দখল করতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (২০নভেম্বর) রাতে খুটাখালী ৮নং ওয়ার্ডের কইয়্যাখালী এলাকায় জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে মাছের ঘের দখলের পায়তারা চালায় বলে অভিযোগে বলা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় জসিম উদ্দিন মেম্বারের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে খুটাখালীর কইয়া খালী এলাকায় অবস্থিত তাদের ২০ একরের মৎস্যঘের সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে দখল নেয়। হামলাকারীরা ঘেরে বাঁধ কেটে দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাছের ক্ষয়ক্ষতি করেছ।

মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহামদ এর ভাই জাফর আহমদ  জানান, আমাদের পারিবারিক সম্পত্তিতে হঠাৎ করে স্থানীয় জসিম বাহিনী রাতের আঁধারে জমিতে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। তারা রাতের আধারে জমিতে কাজ করে সেই জমি দখলে নিতে চায়। কিন্তু এই জমি আমাদের নামে বিএস সৃজিত আছে এবং আমরা দখলে আছি।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। কিন্তু তা অমান্য করে হামলা করে জমি দখল করতে গত ২০ নভেম্বর রাতের আঁধারে জমিতে গিয়ে কাজ শুরু করে তারা। এসময় নিজেদের পৈত্রিক জমি দখলের প্রতিবাদ করাই শফিকুর রহমান নামে মুুক্তিযোদ্ধার ভাইপোকে মারধর করেছে বলেও জানা গেছে।

ভুক্তভোগী হাসান ফারুক জানান, এসব জমি আমরা দীর্ঘদিন যাবত পৈত্রিক ওয়ারিশী মূলে ভোগদখল করে আসছি এবং আমার পরিবার ও চাচা,জেঠাদের  নামে বিএস সৃজিত রয়েছে। তারপরেও স্থানীয় সন্ত্রাসী জসিম, মুজিবুর রহমান , আকতার কামাল,জিল্লু রহমান, আব্দুল্লাহ, আরফাত রানা,গিয়াস উদ্দিন,মোঃ রাফিসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার কাছে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাদের পৈত্রিক জমি দখলে নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই মাছের ঘেরের জমি দখলে নিতে চায়। জমিতে কাজ করার জন্য আমরা মানুষ দিলে তাদের মারধর করে তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।
এব্যাপারে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি, ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সন্ত্রাসী বাহিনী থেকে রেহায় পেতে ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.