নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রামু কচ্ছপিয়া হাজিরপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসি দোদায়েফ ইমন(২৫) নামের এক যুবক সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালে (৩জানুয়ারী) রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড়ের হাজিরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত ইমন ঐ এলাকার মোঃ হাসেম এর ছেলে।
জানা যায়, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড়ের একই এলাকার মোবাশে^র আলম এর ছেলে আবুল মনছুর, আবু তালেব বাবু , ও মোবাশে^র আলম মোঃ হাসেমকে মসজিদের উন্নয়ন কাজ চলমান দেখে পূর্ব হাজির পাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ হাসেমকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে হঠাৎ এক পর্যায়ে মোঃ হাসেম এর ছেলে দোদায়েফ ইমন (২৫) এর উপর হামলা চালিয়ে তার মাথাও শরীরে গুরুত্বর আঘাত করে। ইমনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ইমন এর পিতা মোঃ হাসেম জানান, আমি মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে আছি । সকালে (৩জানুয়ারী) কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু নোমান মোঃ ইসমাইল মসজিদেও উন্নয়ন কাজ করতে এলে মোবাশে^র আলম ও তার ছেলেরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে । তখন আমি তাদের আওয়াজ বাড়ি থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার ছেলে সেখানে ছিল । তারা আমাকে না পেয়ে আমার ছেলে প্রবাসি ইমন এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে গুরুত্ব আহত করে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে মোবাশে^র আলমের ছেলে আবু তালেবকে ফোন করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু নোমান মোঃ ইসমাইল জানান, হামলাকারি মোবাশে^র আলম এর ছেলে আবুল মনছুর, আবু তালেব বাবু , ও মোবাশে^র আলমসহ আরো কয়েকজন যারা ইমনকে হত্যার চেষ্টা করেছে তারা মসজিদেও কোন দায়িত্বে নেই । তারা হঠাৎ কেন মোঃ হাসেম এর ছেলে ইমন এর উপর হামলা করলো তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে রামু থানা অফির্সাস ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোর্টে আছেন এবং এব্যাপারে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, সকালের ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি । ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে তবে ইমনের পরিবার থেকে এখনো কেউ অভিযোগ দেননি।
২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৫৫
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.