মোঃ নেজাম উদ্দিন,কক্সবাজার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজার পর্যটন খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠন সমূহ।
রবিবার (২০ জুন) কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার দাবি তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুলপত্র পাঠ করেন কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন টুয়াক এর উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান। তিনি বলেন, গত ১এপ্রিল মাস থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও হোটেল মোটেল জোন বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এশিল্পের সাথে জড়িত হোটেল গেষ্ট হাউজের হাজার হাজার কর্মকর্তা কর্মচারি, ট্যুর অপারেটরস , প্রফেশনার সাংস্কৃতিক কর্মী, কলাকৌশলী, বীচ বাইক, ঝিনুক ব্যবসায়ীসহ পর্যটনখাতে সকলে কষ্টে দিনযাপন করছে।
আমরা আশা করতে পারি সরকার সবকিছু যেমন সীমিত আকারে খুলে দিয়েছে ঠিক তেমনি কক্সবাজারের পর্যটনখাত খুলে দিবে।
হোটেল মোটেল অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম জানান, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সম্প্রতি হোটেল মোটেল জোন খুলে দেওয়া হলেও জেলা প্রশাসন তা আটকে রেখেছে। আমরা মানসিকভাবে বেশ কষ্টে আছি । আমাদেও আজকেও চলার মতো টাকা নেই। সরকার যদি পর্যটন খাত বন্ধ রাখতে চায় তকে আমাদের খাদ্যেও ব্যস্থাকরার অনুরোধ করছি।
মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে সবচেযে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম পর্যটন খাত। করোনার প্রভাবে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প। করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর দেশের পর্যটন শিল্প অভ্যন্তরীণ পর্যটনের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টায় ছিল কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পর্যটন আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
গত বছর করোনার কারণে পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের সবার ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সবকিছু স্থবির হওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। চলমান পরিস্থিতি আগামী ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত হলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আরো কয়েকগুন বেশি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের অধিকাংশ মানুষ পর্যটন নির্বর। হোটেল মোটেল জোনে হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেষ্ট করা হয়েছে। আর সরকার এখান থেকে কোটি টাকা রাজস্ব নিচ্ছে । এই সময় হোটেল মোটেল বন্ধ থাকায় যারা অভিজ্ঞ কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছে তারা পেশা বদলাচ্ছেন ফলে পর্যটন খাতে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তাই আমি সরকারের কাছে অনুরোধ সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল মোটেল জোন খুলে দেওয়া হউক।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হোটেল গেষ্ট হাউস এসোসিয়েশন এর সভাপতিসুবরি চেীধুরী বাদল, কক্সবাজার সাউন্ড এন্ড লাইটিংসিস্টেম এনার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি সাহেদ হোসেন,টুয়াকের তৌহিদুল ইসলাম, ফারুক আজম, টুরিষ্ট জিপ মালিক সমিতির সভাপতি জামাল উদ্দিন, ভাড়ায় চালিত ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম,
আবাসিক হোটেল কর্মচারি ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.