বার্তা পরিবেশক:
উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরো কয়েক লাখ ইয়াবা ঢুকে পড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে । তৎমধ্যে গত সোমবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন আল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি ও রামু থানা পুলিশের যৌথ একটি টিম অভিযান দেড় লাখ পিস ইয়াবা আটক করতে সক্ষম হলেও বাকী গুলো এখনো গডফাদারদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এগুলো সুযোগ বুঝে যেকোন সময় পাচার করে দিতে পারে বলে গোপন সুত্রে নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্তের একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে আগের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ইয়াবা পাচার। বহনকারী, টমটম চালকরা আটক হলেও মুল গডফাদাররা বরাবরের মতো থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সোমবার পুলিশের হাতে আটক টমটম চালক আবুল হাশেম উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রশীদ আহমদের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে টমটম চালানোর পাশাপাশি প্রাণ এবং বনফুলসহ বিভিন্ন কোম্পানীর মালামাল সরবরাহ করতে দোকানে।
তার বড় ভাই ছৈয়দ হামজা এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার ভাই এই ইয়াবার সাথে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। প্রতিদিনের ন্যায় সে বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে রামুতে সরবরাহ করতে নিয়ে যাওয়ার সময় তার অজান্তে একটি বিস্কুটের কাটনে কে কারা দেড় লাখ ইয়াবা ঢুকে দেন।
ইয়াবা গুলো কার এমন তথ্য খোঁজতে গিয়ে উঠে আসে সীমান্ত এলাকার গডফাদার মিয়ানমারের নাগরিক নুর হোসেন প্রকাশ চেয়ারম্যান, আরেক রোহিঙ্গা নাগরিক হাকিম আলীর নাম। তারা কৌশলে ইয়াবা গুলো টমটমে অন্যান্য মালামালের সাথে ঢুকে দিয়ে রামুতে পাচারের চেষ্টা করেছিল। যেটি টমটম চালক আবুল হাশেম নিজেও জানতেন না৷
সীমান্ত এলাকার বসবাসকারী লোকজনের অভিযোগ মিয়ানমান নাগরিক নুর হোসেন এবং হাকিম আলীর কারণে ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছেনা। তারা বারবার ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং মামলা থেকে দুরে থাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবাকারবার করে যাচ্ছে। আর কতিপয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তার সাথে যোগসাজশ রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইয়াবার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এছাড়াও সীমান্তের চিহ্নিত কয়েকজন ইয়াবা কারবারিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে তিনি জানান।
উল্লেখ্য যে, সোমবার রামু’র রাজারকুল ইউনিয়নের ঢালারমূখ ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের সন্নিকটে বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে রামু-মরিচ্যা সড়কে একটি টমটম গাড়ি থেকে ২ জনকে আটক করে পুলিশ। একই টমটম গাড়িতে অভিনব কায়দায় ইয়াবাকারবারীদ্বয়ের রাখা ১৫ টি কার্টনের প্রতিটি থেকে ১০ হাজার পিচ করে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।
আটককৃত ইয়াবাকারবারীদ্বয় হচ্ছে-উখিয়ার উপজেলার ওয়ালা পালং কড়ইবুনিয়া এলাকার রশিদ আহাম্মদের পুত্র আবুল হাসেম (২৩) এবং উখিয়ার কুতুপালং, ক্যাম্প নং-৬, ব্লক- এ/১১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র রোহিঙ্গা মোঃ আলম (২১)।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.