আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর ভ্যাকসিনের উল্লেখ করার মতো ফল পাওয়া শুরু হবে আগামী গ্রীষ্মের মধ্যেই। আর আগামী শীত আসতে আসতে মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এমনটাই দাবি করেছেন ‘করোনায় ৯০ শতাংশ কার্যকর’ একটি ভ্যাকসিনের উদ্ভাবক উগুর শাহীন। খবর বিবিসির।
মার্কিন ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে একটি কার্যকর করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক। এই বায়োএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা হলেন উগুর শাহীন। তিনি নিজে এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে যুক্ত। সম্প্রতি তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলে ভ্যাকসিনটি ৯৯ শতাংশ কার্যকর বলে জানা গেছে।
আগামী শীতে সব স্বাভাবিক হওয়ার মতো আশা জাগানিয়া খবর জানালেও অধ্যাপক উগুর শাহীন সতর্ক করে দিয়ে এও বলছেন যে, এই শীতে মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বেশ জটিলই হবে। কারণ সংক্রমণের দিক থেকে ভ্যাকসিন এখনও বড় রকম কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। এর প্রভাব পড়তে আরও সময় লাগবে।
বিবিসির এক বিশেষ অনুষ্ঠানে উগুর শাহীন বলেন, ভ্যাকসিনটি নিলে তা একজনের থেকে অন্যজনে সংক্রমণের হার কমানো ছাড়াও একজনের শরীরে করোনার উপসর্গ তৈরি হওয়া থামিয়ে দেবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। সব ঠিক থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ ও আগামী বছরের শুরুতে ভ্যাকসিনের সরবরাহ শুরু হবে।
তিনি বলছেন, ‘এমন একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন মানুষ থেকে মানুষে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে দেবে। তা ৯০ শতাংশ কার্যকর হোক কিংবা ৫০ শতাংশ। তবে আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে যদি ৫০ শতাংশ কার্যকরও হয় তাহলেও মহামারির সংক্রমণ নাটকীয়ভাবে কমে যাবে।’
তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান এই বিজ্ঞানী আরও বলেছেন, এ পর্যন্ত তাদের ভ্যাকসিনের বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে যা দেখা গেছে, তা হলো টিকার স্থানে হালকা ও মাঝারি মাত্রার ব্যথা। কিছু মানুষের সামান্য সময়ের জন্য হালকা ও মাঝারি মাত্রার জ্বর হতে দেখা গেছে। এর বাইরে আর কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
গত সোমবার প্রথমবারের মতো মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক। ছয় দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিকভাবে এমন ফল পাওয়া গেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.