ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ কলম্বোর ঐতিহাসিক জয়ে দেখানো পারফরম্যান্স সাকিব আল হাসানকে আবার বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারের জায়গায় তুলে নিয়েছে। দিন দশেকের মধ্যে দুবার টেস্টে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জায়গাটা নিজেদের মধ্যে অদল বদল করলেন বাংলাদেশের সাকিব ও ভারতের অশ্বিন। কলম্বো ও রাচি টেস্ট শেষে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি টেস্ট খেলোয়াড়দের বিশ্ব র্যাংকিং প্রকাশ করেছে। অশ্বিনকে দুইয়ে নামিয়ে দিয়ে আবার বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হয়েছেন সাকিব। এ নিয়ে তিনবার একই সময়ে তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই বিশ্বের ১ নম্বর অলরাউন্ডার হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টিতেও এক নম্বর অলরাউন্ডার তিনি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সিংহাসনটা আবার সাকিবের।কলম্বোতে রোববার শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবার টেস্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ করেছে ১-১ এ ড্র। ঐতিহাসিক ওই জয়ে সাকিবের ভূমিকা সম্ভবত সবার চেয়ে বেশি ছিল। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১১৬ রান। নিয়েছিলেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৭৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জয় সহজ করার ব্যবস্থাও করেছেন। পরে ব্যাট হাতে করেছেন ১৫। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। এর পুরস্কার সাকিব আবার ১ নম্বর। ২০১৫ সালের শেষে যে জায়গাটা অশ্বিন কেড়ে নিয়েছিলেন, সেটি গলের প্রথম টেস্টের পর পুনরুদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহও ধরে রাখতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলতে থাকা অশ্বিনকেও সাত দিন সেই জায়গাটা ধরে রাখতে দেননি সাকিব। এনেছেন ছিনিয়ে।
অশ্বিন খেলছেন ৪ টেস্টের সিরিজ। ২ টেস্টের সিরিজ শেষ করলেন সাকিব। সাকিবের রেটিং পয়েন্ট এখন ৪৩১। অশ্বিনের ৪০৭। তৃতীয় স্থানে থাকা রবীন্দ্র জাদেজার ৩৮৭। তাই সাকিবকে আর একটি টেস্ট দিয়ে অশ্বিনের পক্ষে ধরে ফেলা কঠিনই হওয়ার কথা। তার মানে এবার তিন সংস্করণেই ১ নম্বর অলরাউন্ডারের জায়গাটা সাকিব ধরে রাখতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে। কারণ, অশ্বিনদের মতো তাদেরও টেস্ট আছে কিছু এই বছর। ২০১৫ সালে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি এই তিন খেলায় একই সাথে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হওয়ার নতুন ইতিহাস গড়েছিলেন।
শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজ সাকিবকে অবশ্য সবদিক থেকেই এগিয়ে দিয়েছে। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি। ৫ ধাপের এক লাফ দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা রেটিং ৬৭৬ এখন তার। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে সাকিব ২১ নম্বর ব্যাটসম্যান। তামিম ইকবাল ৯ ধাপ উন্নতি করে ২৪ নম্বরে। মুশফিকুর রহীম এক ধাপ লাফিয়ে ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিং ২৮ এ। বোলিংয়েও এক ধাপ উন্নতি করে ৬৩৮ পয়েন্ট নিয়ে সাকিব এখন ১৭ নম্বরে। সব মিলিয়ে দারুণ ফর্মে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিবের এখন স্বর্ণসময়ই যাচ্ছে। ৪৯ টেস্টে ৪০.৯২ গড়ে ৫ সেঞ্চুরিতে ৩৪৭৯ রান তার। আর ৩৩.০৪ গড়ে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৭৬ উইকেট তার শিকার। এবার ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টুয়েন্টিতে নিজেকে আরো মেলে ধরার অপেক্ষায় ২৯ বছরের বাঁহাতি স্পিনার-ব্যাটসম্যান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.