রাষ্ট্রীয় তিন অঙ্গের সুষম সমন্বয়-সমঝোতা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থের পক্ষে এ তিন অঙ্গের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্রের স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে হবে।’ সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের জন্য নির্মিত বহুতল আবাসিক ভবনের উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষের অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে না দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল ন্যায়বিচারের চাকাকেও।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। কয়েকজন পালিয়ে থাকলেও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বেশিরভাগের ফাঁসির রায় কার্যকরও হয়েছে। পলাতক বাকিদেরও ধরে আনার চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে। এসব বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে।’
এ সময় যুগান্তকারী রায় দেওয়ার মাধ্যমে এ অগ্রযাত্রা শুরু এবং সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ ও সহযোগিতা করায় বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
নতুন আইন তৈরির সুদীর্ঘ প্রক্রিয়া তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংসদে চূড়ান্তভাবে তা পাস করেন সংসদ সদস্যরা। সবশেষে রাষ্টপতির অনুমোদনের পর সে আইন কার্যকর করা হয়। জনস্বার্থেই তাই সব আইন তৈরি হয়। কোনো আইন নাকচ বা বাতিল করা হলে এতোদিনের পরিশ্রম ও উদ্যোগ পণ্ড হয়ে যায়।’ সে জন্য এ ক্ষেত্রে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.