রিক্সা চালক আমিরুল ছেলেকে অনার্স পড়াতে পারছেন না

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

রোগে শোকে মুহ্যমান মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন ঝিনাইদহের রিক্সাচালক আমিরুল ইসলাম। যে দিন রিক্সা চালাতে না পারেন সে দিন পার হয় তার অতি কষ্টে। প্রতি মাসে তার ঘর ভাড়া আর কারেন্ট বিলসহ লাগে ২৫ শত টাকা। এই টাকা তিনি রিক্সা চালিয়ে রোজগার করেন। এ ছাড়াও রয়েছে সন্তানদের পড়া লেখা ও সংসার চালানোর বড় বোঝা। দুই বার সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে বুকের হাড় আর পা ক্ষত বিক্ষত হয়েছেন।

 

তার পরও রিক্সার প্যাডেলে তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন। বড় ছেলে কেসি কলেজে অনার্স পড়ছেন। ছোট মেয়ে পড়ে তৃতীয় শ্রেনীতে। কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া করাচ্ছেন আমিরুল। সন্তানরা যত উপরে উঠছেন, সংসারে ব্যায়ও তত বাড়ছে। কিন্তু পেরে উঠছেন না তিনি। হাতের আঙ্গুলে নতুন করে রোগ হয়েছে। রিক্সার হ্যান্ডেল ধরতে পারছেন না। এত কিছুর পরও ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে তার প্রানপন চেষ্টা।

 

আমিরুল ইসলাম আশির দশকে ঝিনাইদহ শহরে আসেন। শহরের ব্যাপারীপাড়ার ঢাকালে পাড়ার ওয়াজেদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার রিক্সা চালানোর বয়স ২৭ বছর। গ্রামের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার লক্ষনদিয়া গ্রামে। অভাব অনটনের সংসারে আমিরুলের চোখে মুখে এখন হতাশা। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি আমিরুলকে সাহায্য করতে চাইলে ০১৯৬৬-৭৮৩৫৫৬ এই মোবাইল নাম্বারে ফোন করতে পারেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.