যশোরের মণিরামপুরে মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার

ইয়ানুর রহমান, যশোর : যশোরের মণিরামপুরে ফজর আলী (৫০) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ফজর আলী মণিরামপুর উপজেলার স্মরণপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের মোড়লের ছেলে। রোববার থানার এসআই তপন উপজেলার রাজগঞ্জ-ঝিকরগাছা সড়কের কাশিমপুর এলাকার জয়েন্ট ভাটা-সংলগ্ন রাস্তার ওপর থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।

এসময় পুলিশ তার ব্যবহৃত একটি ফ্র্র্রিডম ১০০ সিসি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করেছে। বাইকটির সামনের অনেকাংশ ভেঙে গেছে। তাছাড়া ঘটনাস্থলে একটি খেজুরগাছের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগার চিহ্ন রয়েছে। লাশের পাশ থেকে নেশাদ্রব্য অ্যালকোর বোতল ও জর্দার কৌটা পাওয়া গেছে।

ফজর আলীর মৃত্যু দুর্ঘটনা না কি হত্যাকান্ড তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সংশয় রয়েছে। তবে, লাশের দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তাছাড়া ‘ফজরকে হত্যা করা হয়েছে’ মর্মে তার স্বজনরাও কোনো দাবি করছেন না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর হাসান শিল্পী বলেন, ‘সকালে হাঁটতে বেরিয়ে স্থানীয়রা ফজর আলীর লাশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে যাই।’ এরপর তিনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ ও ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলীকে খবর দেন।

ইউপি সদস্য জানান, ফজর আলী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেক রাত পর্যন্ত তিনি রাস্তায় ভাড়া টানেন। শনিবার রাতে ভাড়া টেনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ফজর নেশা করতেন। এর আগেও কয়েকবার তিনি নেশা করে যেখানে সেখানে পড়ে থাকতেন। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা অথবা স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

এদিকে, নেশার কথাটি মানতে নারাজ নিহতের ছেলে মাসুম। তিনি বলেন, আমার বাবা কখনও নেশা করেননি। তিনি শুধু জর্দা খেতেন। তাছাড়া তিনি হাইপ্রেশার (উচ্চ রক্তচাপের) রোগী ছিলেন। তবে তার বাবাকে কেউ হত্যা করেছে এমন দাবি করেননি মাসুম।

এ ব্যাপারে থানার ওসি বিপ্লবকুমার নাথ বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি; এখন কথা বলতে পারছি না।’

তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, ‘যেহেতু ফজরকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তার স্বজনরা কোনো দাবি করেননি। সে কারণে লাশ মর্গে না পাঠিয়ে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হোক।’

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.