মহেশখালিতে ভাইয়ের হাতে ভাই নিহত,দামাচাপা দিতে দুলাভাই তৎপর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আপন ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত বড় ভাই খোরশেদ আলম(২৮) সোমবার ২৪ এপ্রিল দুপুরে চট্রগ্রামের ন্যশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা এলাকায়। নিহত খোরশেদ আলম কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা র্পূব পাড়া এলাকার মৃত হাজী কালা মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে নিহত খোরশেদ আলমের দুলাভাই প্রভাবশালী আমির হোসেন বহদ্দার তড়িঘড়ি করে খোরশেদ আলমের লাশ গোপনে চট্রগ্রাম থেকে একটি এম্বুল্যান্স যোগে বাড়িতে নিয়ে আসার পায়তারা করে। পথিমধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে নয় ঘটিকার সময় চকরিয়া থেকে এমু্বল্যান্সটি আটক করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে,বর্তমানে লাশ মর্গে রয়েছে। ঘটনার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ ঘটিকার সময় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা র্পূব পাড়া এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক মোহাম্মদ হোসেনের ফার্মেসী দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা র্পূবপাড়া এলাকার মৃত হাজী কালা মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই খোরশেদ আলমের মধ্যে কাটকাটি হয়। কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম বড় ভাই খোরশেদ আলমকে ব্যাপক মারধর করে এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। পরে তার আর্তচিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় খোরশেদ আলমকে উদ্ধার করে গ্রাম্য চিকিৎসক ভুল সেলাই চিকিৎসা দেয় বলে জানা যায়। পরে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তার প্রভাবশালী দুলাভাই আমির হোসেন বহদ্দার তড়িঘড়ি করে গুরুতর আহত খোরশেদ আলমকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে না এনে গোপনে চট্রগ্রাম ন্যশনাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। নিহত খোরশেদ আলম চট্রগ্রাম ন্যশনাল হাসপাতালে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সোমবার ২৪ এপ্রিল দুপুরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার বলেন,ঘটনার সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানার একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপালে প্রেরণ করেন। তবে এখনো পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ/এজাহার দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে খুনিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। এদিকে এই মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে তার প্রভাবশালী দুলাভাই আমির হোসেন বহদ্দারের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মোটা অংকের মিশন নিয়ে ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.