ভালোবাসার ৫টি ‘খারাপ’ দিক!

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ কেউ নিজের স্বাধীনতা হারাতে চায় না। এমনকি ভালবাসার মানুষটির জন্যও না। কিন্তু আপনি যখন আপনার সঙ্গীকে অনেক বেশি ভালবাসবেন তখন তাঁকে সব সময় আপনার আয়ত্তে রাখতে চান। সবসময় তার সাথে থাকতে চান। আর এই কারণে সঙ্গী তাঁর স্বাধীনতা হারায়। এতে তার ভালবাসার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, ভালবাসার প্রতি বিতৃষ্ণা কাজ করে।

 

● অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা: সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এর মাঝে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখা সম্পর্কের জন্য ভাল। অতিরিক্ত কাছে থাকার অনুভূতি কখনোই সুখকর হয় না। এই অতিরিক্ত কাছে থাকাটাই এক সময় সম্পর্কের ইতি টানে। বলা হয়ে থাকে দূরত্ব ভালবাসাকে আরও মজবুত করে।

 

● ব্যক্তিগত বিষয়: অনেকেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে মনে করে ভালবাসার মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় বলে কিছু নেই। কিন্তু এটাই ভুল ধারণা। প্রতিটি মানুষের আলাদা জগৎ আছে, আপনার সঙ্গীও এর ব্যতিক্রম নয়। তার নিজের একটি কাজের জায়গা আছে আছে নিজস্ব বন্ধুমহল। যা তার একান্ত ব্যক্তিগত। তার ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলবেন না। আপনি যেহেতু তাকে ভালোবাসেন, তার ওপর বিশ্বাস রাখুন।

 

● নিজস্বতা হারানো: আপনি অব্যশই আপনার সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করতে হবে। আমরা সবাই চাই আমাদের প্রিয় মানুষটি আমার মত হোক। আমি যা পছন্দ করব সে তাই করুক। তাকে নিজের মত করে পরিবর্তন করতে চান। কিন্তু তা কি সম্ভব? আপনি তাকে তার মত দেখে ভালবেসেছেন, তাকে তার মত থাকতে দিন। আর আপনিও নিজে নিজের মত থাকুন। কারো জন্যই নিজেকে বদলে ফেলবেন না। এই কাজটিও আপনার ভালবাসাকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য দায়ী।

 

● কিছু না বলা: অনেক সময় অতিরিক্ত ভালবাসা কারণে আমরা আমাদের সঙ্গীকে কোন কিছু বলি না। এমনকি কোন অন্যায় করলেও তাকে সেটা বলি না। আর এই বিষয়টি সম্পর্ককে পানসে করে দেয়। মান অভিমান নিয়ে সম্পর্ক। ভালোবাসার মধ্যে কোন খুনসুটি, মান অভিমান না থাকলে কি চলে বলুন? এই মান অভিমান খুনসুটি আপনার ভালবাসাকে আরও মজবুত করবে।

 

●অতিরিক্ত যত্ন: ভালোবাসা মানে এই নয় যে সঙ্গী শুধু আপনার। তার কোন ব্যক্তিগত জীবন থাকবে না। যাকে ভালবাসুন তাকে তার মত থাকতে দিন। অতিরিক্ত যত্ন, অতিরিক্ত ভালবাসা সম্পর্কের ক্ষতি ছাড়া ভাল করে না।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.