বেনাপোলে ফসলি জমির বুক চিরে বালু উত্তোলন করছে ভ‚মি দস্যুরা

ইয়ানুর রহমান : বেনাপোলের ভবারবেড় মৌজায় ৪ বিঘা ফসলি জমির বুক চিরে অবৈধভাবে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক বালু উত্তোলন করছে ভ‚মি দস্যুরা। যা এখনি বন্ধ করা না হলে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাগমারি-পুটখালী সড়ক (চোরের রাস্তা)টি যেমন ভাঙন ধরে বিলের মধ্যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তেমনি পাশে থাকা স্থানীয় চাষীদের শতাধিক বিঘা আবাদী জমি গুলোও ভাঙ্গনের মুখে পড়ছে।

 

এদিকে, বারংবার গ্রামবাসীদের অনুরোধ প্রত্যাখান করে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ায় প্রতিবাদ মুখোর হয়ে উঠছে ভুক্তভোগীরা। এখনি তা বন্ধ করা না হলে যেকোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে অভিযোগের ভিত্তিতে জানাগেছে।

 

রবিবার দুপুরে যশোরের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর জেলা প্রশাসক, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পোর্ট থানা-বেনাপোল ও বেনাপোল বন্দর প্রেস ক্লাবে ভবারবেড় মৌজার ক্ষতিগ্রস্থ শতশত চাষীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানাযায়, বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামের আশরাফ কসাই’র ছেলে আরশাদুল কসাই(২৮) নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য ভবারবেড় মৌজার নিজস্ব ৩ থেকে ৪ বিঘা আবাদী জমি হইতে প্রায় দুই বছর যাবত প্রতিদিন শতশত গাড়ি বালু উত্তোলন করছে। সেসাথে তার এই অপকর্মে কেউ যাতে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সেজন্য তিনি স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীদের মোটা টাকার জোগান দিয়ে পুষে রেখেছেন।

 

সে কারণে আরশাদ কসাই গংদের দফায় দফায় বালু উত্তালন না করার জন্য গ্রামবাসী মিলে বারংবার অনুরোধ জানালেও তারা তা মানছেন না। বরং এসকল সন্ত্রাসীদের ভয় দেখিয়ে আরো তড়িৎ গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের এই অবৈধ কর্মকান্ড।

 

লিখিত বক্তব্য সুত্রে আরো জানাযায়, আশরাফ কসাই’র সামান্য জমি থেকে প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালু উত্তোলন কর্মকান্ড চলতে থাকলে অচিরেই পাশের হাজার হাজার বিঘা চাষী জমিগুলো আবাদের অনুপযোগি হয়ে যাবে। তাতে স্থানীয় চাষীরা হবে খুবই ক্ষতিগ্রস্থ। যা এখনি বন্ধ করা না হলে  যে কোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীদের।

 

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, চাষী জমি হতে এভাবে বালু উত্তোলন করা আইনত দন্ডনীয়। যা আগেই প্রতিহত করার দরকার ছিল। এতোদিন কেউ অভিযোগ করেনি। এখন অভিযোগ পেলাম।

যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠমহল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

 

তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, প্রায় দুই বছর যাবত আরশাদ গং ভবারবেড় মৌজার উল্লেখিত স্থান থেকে অবৈধভাবে ড্রেইজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে। কেবল এবছরের তিনি সামান্য জমি থেকে অর্ধ কোটি টাকার বালু বিক্রয় করায় টাকার গরমে সাধারণ মানুষদের সাথে অসাদাচরণ শুরু করেছেন। এছাড়া স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে তিনি তার এই অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন বলে জানাগেছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.