পনের হাজার টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না ঝিনাইদহের মিঠুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌরসভার চাঁচড়া গ্রামের দিন মুজর কাঠ মিস্ত্রি মুরালী মজুমদারের মেধাবী ছেলে মিঠুন মজুমদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে রাষ্টবিজ্ঞান বিষয়ে উর্ত্তীন হয়েছে।কিন্তু অসহায় হতদরিদ্র পিতা অর্থের অভাবে ভর্তি করাতে পারছে না।

 

অসহায় পিতাছেলে কে বিশ্ববিদ্যালযে পড়াতে চায়, কিন্তু কে দেবে তারভর্তির টাকা ?মিঠুন কালীগঞ্জ চাঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ প্লাস পেয়ে এস এস সি পাশ করে।পরে সকলের সহযোগিতায় এইচ এস সি পাশ করে মাহতাব উদ্দিন ডিগ্র্রী কলেজ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাকে এখন ভর্তি হতে হলে ১৫ হাজার টাকার প্রয়োজন।

 

কিন্তু অসহায় গরীব পিতার পক্ষে টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছেনা। মিঠুনেরর মা মুক্তা জানান,তাদের কোন সম্পদ নেই।তার স্বামী কাঠের কাজ করে যে টাকা রোজগার করে তাতে কোন রকম সংসার চলে।তার পরেও ছেলেকে পড়ার খরচ চালাতে অনেকের কাছ থেকে ধারদেনা করতে হয়েছে। সে সব টাকা অদ্যবধি পরিশোষ করা সম্ভব হয়।

 

মিঠুন লোকলজ্জায় এতদিন বাড়িতে বসে ছিল তার বাবার অপেক্ষায়, কিন্তু তার বাবা বলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। যে কারনে মিঠুনের লেখাপড়া আজ অনিশ্চিত হতে চলেছে। তার বাবা মুরালী মজুমদার প্রতিদিন সকালে কাঠের কাজ করতে আর বাড়ি ফেরে রাতে। সারাদিন যা আয় হয় তাদিয়ে পরিবারের কোন রকম সংসার চালায়। মিঠুনের ইচ্ছা বিশ্ববিদ্যালযে লেখাপড়া করা, কিন্তু সে শপ্ন পুরন হবে কি ? মিঠুন ভর্তি পরীক্ষায় রাষ্টবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।কি ভর্তি হবে কিভাবে।

 

মিঠুন ও তার মায়ের আবেদন সমাজের কোন বিত্তবান তার ছেলের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিও খরচের টাকা দিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিত তাহলে তিনি চিরকৃঙ্গ থাকত। মা মুক্তা, মোবাঃ০১৭০৩-২৭৫৪৫৭( বিকাশ)/০১৫১৫৬৪০৭৩। এদিকে মিঠুনের বন্ধুরা সবাই বিভিন্ন স্থানে ভর্তি হয়েছে কিন্তু ভর্তি হতে পারছে না।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.