ঝিনাইদহে ২১ শে ফেব্রয়ারির দিন লাঞ্চিত হলেন প্রধান শিক্ষক
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার হাট বারোবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেছে ফিরোজ নামে এক যুবক। একুশে ফেব্রয়ারীর দিন সকালে শহীদ মিনার থেকে ফুল সরানোর অজুহাত তুলে প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয়। এর আগে বারোবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রধান শিক্ষককে লোকজনের সামনে বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ করেন।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কালামসহ তার দলের লোকজন এসে তাকে বিনা কারণে গালিগালাজ করে চলে যান। কিছুক্ষন পরে বাদুরগাছা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে বারবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ দলবল নিয়ে এসে শত শত লোকের সামনে আমাকে আচমকা মারপিট করতে থাকে। মারপিট করার ফলে আমি অচেতন হয়ে পড়ি।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, আমিও আওয়ামীলীগের সমর্থক। বঙ্গবন্ধুর উপর আমার অনেক লেখা আছে। আমার ছাত্রছাত্রীর সামনে এ ভাবে মারধরের ফলে আমি মানসিক ভাবে আহত হয়েছি। তিনি বিষয়টি স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের কাছে জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেনে। এমপি তাকে বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় তিনি পুলিশের কাছে এখনো কোন অভিযোগ করেন নি বলে জানান।
এ ব্যাপারে বারবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন বলেন, ২১ ফেব্রæয়ারি বেদী থেকে ফুল নামানো নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি। প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনাটি সত্য নয়। হাটবারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার জানান, আমি ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলাম।
চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরপরই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ এসে প্রধান শিক্ষক কে কিল-ঘুষি-চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করে। বিষয়টি নিয়ে বারোবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনা জানতে পারি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এখনো কোন অভিযোগ করেন নি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.