ছোটবেলা নতুন বই না পাওয়ার কষ্ট অনুভব করলেন এমপি আফিল উদ্দিন

ইয়ানুর রহমান : ছোটবেলা বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের ‘গন্ধ’ না পাওয়ার কষ্ট অনুভব করে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যদানাকালে আবেগ কন্ঠে ঝরে পড়ল সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনের।

ভারাক্রান্ত কন্ঠে তিনি বললেন, মা পুরোনো বইয়ের জন্য গ্রামের বড়দের দারে দারে ঘুরতেন। টাকা থাকলেও নতুন বই কেনা সম্ভব হতো না। বছরের অর্ধেক সময় পার হলেও বাজারে মিলত না নতুন বই। তাই পুরোনো বই নিয়ে সন্তষ্ট থাকতে হত। নতুন বইয়ের গন্ধ আমাদের ভাগ্যে জোটেনি। একখানা নতুন বই হাতে পেলে সেদিন আর ঘুম আসতো না। বুকের উপরে নতুন বই নিয়ে শুয়ে পড়তাম। নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠতাম।

আর আজকের শিশুরা নতুন বইয়ের গন্ধ নিতেই জানে না। তাদের মধ্যে কোন অনুভুতিই লক্ষ করা যায় না।

রোববার সকালে শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথি হয়ে আসা ৬০ বছর বয়সী সংসদ সদস্য এমন আক্ষেপের সঙ্গে কথা গুলো বলছিলেন। ছোট বেলায় নতুন বইয়ের গন্ধ না পাওয়ার কথাও তার কন্ঠে আবেগের স্বরে ঝরে পড়ছিল।

এমপি আফিল উদ্দিন আরো বলেন, কাল রাত থেকে ভাবছি এমন একটা অনুষ্ঠান তো আমাদের সময় হতো না। নতুন বই তো আমরা একসাথে কিনতে পারতাম না। যখন বই একটা বের হতো তখন পেতাম। আর এখন বছরের প্রথম দিনেই এই ভাগ্যবান শিশুরা বইয়ের গন্ধ নিচ্ছে। তাদের ভাগ্য বলতে হয়।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবু তালেব মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ প্রমুখ।

এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উপস্তিতিতে তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন।

এ ছাড়া বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু ও বুরুজ বাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি আজগর আলী শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.