ছাত্রলীগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পুনর্মিলনী কাল
ওয়ান নিউজঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী আগামীকাল মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। এই পুর্নমিলনীকে কেন্দ্র করে যাতে কোন ধরনের যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেছেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সুশৃঙ্খলভাবে আসার জন্য ছাত্রলীগের সারাদেশের নেতা-কর্মীদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। আজ বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী, বাংলাদেশের পুনর্মিলনী। সংগঠনের সারাদেশের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মিলনমেলায় মুখরিত হয়ে উঠবে ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী। এ অনুষ্ঠানটি যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য ৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা নিয়মিত কাজ করছেন। পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো ধরণের যানজট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য বিশেষ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গাড়িগুলো যেন রাস্তার ওপরে বা যত্রতত্র পার্কিং করা না হয়, সেজন্য শৃঙ্খলা উপ-কমিটি করা হয়েছে। এসব গাড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম, মলচত্তর, মহসিন হলের খেলার মাঠ ও ফুলার রোডে পার্কি করা হবে। কোনোভাবেই রাস্তায় গাড়ি রাখতে দেয়া হবে না। শৃঙ্খলা উপ-কমিটির ৩৫ জন সদস্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কাজ করবেন। যদি কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পুনর্মিলনী আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সারাদেশের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক গর্বিত কর্মী আজীবন সদস্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা ছাত্রদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। কিভাবে সাবেক ও বর্তমান নেতারা সংগঠনের পাশাপাশি দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সে ব্যাপারে দিক-নিদের্শনাও দেবেন তিনি। কাজেই কর্মসূচীকে সফল করতে নেতা-কর্মীরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে বলে জানান সোহাগ।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন আরো বলেন, ছাত্রলীগ একটি সৃ-শৃঙ্খল ছাত্রসংগঠন। পুনর্মিলীতে এ সংগঠনের কোন নেতা-কর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না। মিছিলগুলো রাস্তার একপাশ দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসবে। কেউ কোনো গাড়ি আটকিয়ে মিছিল নিয়ে আসবে না। এরপরেও যদি পুনর্মিলনীর কারণে নগরবাসীর কোন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয় বা কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত, মেহেদী হাসান রনি, জাহাঙ্গীর আলম, রিফাত জামান, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন রাজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক লালন, চন্দ্র শেখর মন্ডল, শেখ ফয়সল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন, আশিকুল পাঠান সেতু, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, গণযোগাযোগ সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান মনির, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আনন্দ শাহা পার্থ প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.