চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে কর্ণফূলী নির্বাচন বিষয়ে ডাঃ শাহাদাত হোসেন- “এ নির্বাচন কমিশন যেনো পুর্বের কমিশনের পথে না হাঁটে”
জে,জাহেদ ব্যুরোচিফ চট্টগ্রামঃ
নির্বাচনে কারচুপি, জাল ভোট, বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আগত ও ফলাফল ঘোষণায় কৌশল অবলম্বনের আগাম অভিযোগ করে সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি।
২১শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কর্ণফুলী উপজেলা শাখা ও বিএনপি মনোনিত উপজেলা পরিষদে তিনপ্রার্থী চেয়ারম্যান পদে এডঃ এসএম ফোরকান,ভাইস চেয়ারম্যান হাজি মোহাম্মদ ওসমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে মিরজান শামীমা।
ইসি সুত্রে জানা যায়,আগামী ২৪ শে সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,আনোয়ারা কর্ণফূলী আসনে বিএনপির তিন বারের নির্বাচিত সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সরোয়ার জামাল নিজাম, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদত হোসেন, কর্ণফূলী উপজেলা সভাপতি এহসান -এ- খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-দক্ষিন জেলা বিএনপির সাংঘটনিক সম্পাদক এসএম মামুন মিয়া,কর্নফুলী থানা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক এসএম হারুন ও ইন্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ,কর্নফুলী থানার আইন বিষয়ক সম্পাদক এডঃ ওসমান,থানা যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ্ব এম মঈন উদ্দিন।
এ ছাড়াও চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ফয়সাল,সাংঘটনিক সম্পাদক কবির আহমেদ মেম্বার, আনোয়ারার সাবেক চেয়য়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোঃ শাহাজানসহ যুবদল,ছাত্রদলের নানা সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কর্ণফূলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এহসান-এ- খান বলেন, ‘নির্বাচন প্রচারনায় বিএনপির মনোনিত প্রার্থীগণের সমর্থকদের প্রচার কাজে বিভিন্ন সময়ে সরকার দলীয় প্রার্থীদের মদদপুষ্ট সমর্থকগণ ও আনোয়ারা হইতে আগত বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ ভয়ভীতি প্রদান ও হুমকি ধমকি ইত্যাদির মাধ্যমে চরম অরাজকতা সৃষ্টি করিতেছে।
সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকির কারনে ভোটারগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করিতেছে অভিযোগ করেন,নির্বাচনের ২দিন পুর্বে বিএনপির নেতা ও কর্মীদের ঘরে ঘরে পুলিশ দ্বারা অভিযান চালিয়া নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করিবে মর্মে সরকার দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ প্রকাশ্যে আস্ফালন করতঃ হুমকি প্রদান করিতেছে।
নির্বাচনের দিন পার্শ্ববর্তী আনোয়ারা উপজেলা ও অন্যান্য এলাকা হইতে বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লোকজন আনিয়া ভোটকেন্দ্র জবর দখল করিয়া ব্যালেটের নৌকা প্রতীকে সিল মারিবে,জাল ব্যালট পেপারপুর্বক ব্যালট বাক্সে জমা করিবে,মারধর ও রক্তপাত ঘটিয়ে বাধা প্রদান ও ভোটের রাতে ৫০% ব্যালেটে নৌকার ব্যালেটে সিল মারবে বলে আশংকা করছে।
এমনকি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের এমন বেআইনী কর্মকান্ডের ফলে আসন্ন কর্ণফূলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কারুচুপিবিহীন, অবাধ,সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে জোর দাবি জানিয়েছেন।
প্রশাসনের প্রতি, ৪২ টি ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট ও ভোটকেন্দ্রে পুলিশের পাশপাশি সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করার আহ্বান করেন তিনি।
এক পর্যায়ে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, “এ নির্বাচন কমিশন যেনো পুর্বের কমিশনের পথে না হাঁটে”।
এছাড়াও সংশিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর নির্বাচন কমিশন ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব এডঃ এসএম ফোরকান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.