ডেস্ক নিউজ:
জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে অপহরণের শিকার দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকায় থেকে ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। যেখানে চাকরি দেয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে উক্ত দুই তরুণীকে অপহরণ করা হয়। জোরপূর্বক অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত করার চেষ্টাও করা হয় বলে জানা গেছে।
অপহরণকারী দুইজন হলেন- সাতকানিয়ার জাফর আহম্মদের ছেলে মো. দেলোয়ার (২৫) ও রাউজানের মো. হানিফ তালুকদারের ছেলে শাহীনা আকতার (২৪)। এ দু’জন ঘটনাস্থল বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকার জি-৩১ নং ব্লকের এমিরেটার্স প্যালেস নামের ভবনে বসবাস করতেন।
বাকলিয়া থানা পুলিশ জানায়, ৫ অক্টোবর এক তরুণী জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন করে জানান যে, তাকে এবং তার ফুফাত বোনকে বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু বাসার নাম্বার ব্লক কিছুই জানেন না। একপর্যায়ে মেয়েটি বাসার জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যের বর্ণনা দেন। সেই বর্ণনার সূত্র ধরে কল্পলোক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং বাসাটি শনাক্ত করা হয়। একপর্যায়ে ৬ অক্টোবর উক্ত বাসা থেকে ভিকটিম দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও জানা যায়, অপহরণের শিকার দুই তরুণী পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী ইপিজেড কেনপার্ক বাংলাদেশ এ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরি করতো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় তাদের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত ৩ অক্টোবর দুই অপহরণকারী চাকরি দেয়ার নাম করে কৌশলে দুই তরুণীকে কল্পলোক এলাকায় নিয়ে আসেন এবং অপহরণ করেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীনবলেন, মূলত ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে কল্পলোক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং অপহরণের শিকার দুই তরুণীকে উদ্ধারসহ দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে গ্রেফতার দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। – সিভয়েস।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.