৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথ আজ

ওয়ান নিউজ:  সিনিয়র হেভিওয়েটদের বাদ দিয়ে বেশিরভাগ নতুন সদস্যদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছেন সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে এবারের মন্ত্রিসভায় চমকের কথা ছড়িয়ে যেতে থাকে।

অবশেষে শেখ হাসিনা ম্যাজিক প্রতিফলিত হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভায়। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে। মন্ত্রিসভায় একেবারেই নতুন মুখ ২৭ জন। এর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী নয়জন, প্রতিমন্ত্রী ১৫ জন এবং উপমন্ত্রীর তিনজনই নতুন।

বঙ্গভবনের দরবার হলে সদ্য ঘোষণা করা ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ নেবেন আজ।

সোমবার (৭ জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নেবেন তারা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নাম জানিয়ে দিয়েছেন।

এ সময় তাদের দফতরও ঘোষণা দেন তিনি। ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাছে রেখেছেন চার মন্ত্রণালয় ও দুটি বিভাগ।

এগুলো হল- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

২৪ জন পেয়েছেন মন্ত্রীর দায়িত্ব।

আ ক ম মোজাম্মেল হক পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, আবদুর রাজ্জাক কৃষি মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ তথ্য মন্ত্রণালয়, আনিসুল হক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থ মন্ত্রণালয়, মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ডা. দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এ কে আবদুল মোমেন পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এমএ মান্নান পেয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন শিল্প মন্ত্রণালয়, গোলাম দস্তগীর গাজী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য মন্ত্রণালয়, টিপু মুনশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নুরুজ্জামান আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শ ম রেজাউল করিম গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মো. শাহাব উদ্দিন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়, বীর বাহাদুর উ শৈ সিং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ভূমি মন্ত্রণালয় ও নুরুল ইসলাম সুজন রেলপথ মন্ত্রণালয়। টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হয়েছেন দু’জন। এর মধ্যে ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং মোস্তাফা জব্বার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পেয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ১৯ জন। তারা হলেন-

কামাল আহমেদ মজুমদার শিল্প মন্ত্রণালয়, ইমরান আহমেদ চৌধুরী প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, নসরুল হামিদ বিপু বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, আশরাফ আলী খান খসরু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মুন্নুজান সুফিয়ান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বপন ভট্টাচার্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মুরাদ হাসান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শরীফ আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, কেএম খালিদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, এনামুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মাহবুব আলী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনজন।

হাবিবুন নাহার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, একেএম এনামুল হক শামীম পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পেয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.