ওয়ান নিউজ ক্রীড়া ডেক্সঃ স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতল নবাগত বসুন্ধরা কিংস। ঘরোয়া ফুটবলে এটিই বসুন্ধরা কিংসের প্রথম শিরোপা।
দশম আসরের ফাইনালে বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই মার্কোস ভিনিসিয়াস দ্য কস্তা সুয়ারেস দা সিলভার একক প্রচেষ্টায় লং কিক থেকে পাওয়া গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কিংস।
গোল খেয়ে শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে শেখ রাসেল। ৪২ মিনিটে শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান তারকা আলিসনের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন কিংসের গোলরক্ষক জিকো। প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগে লং শটে রাসেলকে সমতায় ফেরান রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল।
বিরতির পর দুই দলই জয়সূচক গোলের জন্য একে অন্যের রক্ষণে বারংবার আক্রমণ শানালেও ফিনিশিংয়ের অভাবে ব্যর্থ হয় সব প্রচেষ্টা। ৮৩ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে দারুণ এক উড়ন্ত পাস দেন বসুন্ধরা কিংসের মার্কোস। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে উপস্থিত মাহবুবুর রহমান সুফিল হেড করলেও তা গোলবার পেরিয়ে গেলে গোলবঞ্চিত হয় কিংস।
এভাবে গোল মিসের মহড়ায় নির্ধারিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলে। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হতেই গোলের দেখা পায় কিংস।
কোস্টারিকান তারকা ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের নেওয়া কর্ণার কিক শেখ রাসেলের ডিফেন্সে প্রতিহত হলে বল পেয়ে যান কিংসের মতিন মিয়া। শেখ রাসেলের ডি-বক্সে থাকা তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে আড়াঅাড়ি শটে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ড।
কিছুক্ষণ পর ফের আক্রমণে উঠে আসে কিংস। এবার ডি-বক্সে জায়গা করে নেওয়া ব্রাজিলিয়ান মার্কাসের শট ঠেকিয়ে দেন শেখ রাসেলের গোলরক্ষক রানা। এরপর আরো দুটি ফিরতি শট ঠেকিয়ে রানা গোলবঞ্চিত করেন কিংসকে।
অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে বসুন্ধরা কিংসের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় শেখ রাসেল। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যালেক্স রাফায়েলের শট কিংসের বারের কিছুটা বাইরে দিয়ে চলে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে বসুন্ধরা কিংস।
এর আগে গ্রুপ পর্বে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেলের মুখোমুখি লড়াইয়ে গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল উভয় দলই ছিল একই গ্রুপে। ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট রাউন্ডে উঠে আসে বসুন্ধরা। পরে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে বসুন্ধরা কিংস। গ্রুপ পর্বে নাসিরউদ্দিন ও বখতিয়ারের গোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২-০ গোলে হারানোর পর শেখ রাসেলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বসুন্ধরা। অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে উঠে তারা। একই গ্রুপ থেকে শেখ জামালের সঙ্গে ড্র করে কোনো জয় ছাড়াই অপরাজিত হয়ে শেষ আটে পা রাখে শেখ রাসেলও।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.