ডেস্ক নিউজ:
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় দুই টাকার কয়েন এখন অনেকটাই অচল। সাধারণ মানুষ ও দোকানিদের বেশ অনাগ্রহ এই কয়েনে। দোকানিরা দুই টাকার কয়েন নিতে চান না। তাদের ভাষ্য- কেবল ক্রেতারাই নয়, ভিক্ষুকও দুই টাকার কয়েন নিতে অনাগ্রহ দেখান।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কয়েন পরিবহন অনেকটাই ঝামেলার। একসঙ্গে দুই টাকার অনেকগুলো কয়েন পরিবহন করা যায় না। দুই টাকায় এখন তেমন কিছুই কেনাও যায় না। এমন সব অজুহাতে ওই এলাকায় দুই টাকার কয়েন প্রায় অচল মুদ্রায় পরিণত হয়েছে।
গফরগাঁও উপজেলার মাইজবাড়ি বাজারের মনিহারি দোকানের মালিক রিপন বলেন, দুই টাকার কয়েন এখন তেমনভাবে চলে না। কেউ নিতে চায় না। এমনকি ভিক্ষুকেরাও নিতে চায় না।
মাইজবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান দিদার বলেন, আমার মেয়ে মাটির ব্যাংকে কয়েন জমা করে। কিন্তু দোকানে নিয়ে গেলে দুই টাকার কয়েনগুলো দোকানি নেননি। দুই টাকার অনেকগুলো কয়েন অচল হিসাবে পড়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে গফরগাঁও উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাজুল ইসলাম বলেন, দুই টাকার কয়েন নেবে না এটা দোকানদার বলতে পারে না। কেউ না নিতে চাইলে আইন অনুযায়ী সে অপরাধী। আমি উপজেলার সবগুলো হাঁটবাজারে বলে দেব কেউ যদি কোনো কয়েন দেন সেটা যেন সবাই নিতে বাধ্য থাকেন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আমরা প্রচারণা চালাবো।
এদিকে, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় কয়েকটি দোকানে কথা বলা জানা গেছে, সেখানেও দুই টাকার কয়েন অনেকটা অচল। ভালুকার একটি চায়ের দোকানি আব্দুল খালেক বলেন, দোকানে দুই টাকার কোনো জিনিস নেই। ফলে দুই টাকার কয়েনও চলে না। ভিক্ষা দিলে ভিক্ষুকরা দুই টাকার কয়েন নিতে চায় না। একই রকম কথা জানান আরেকটি চায়ের দোকানদার আমিরুল।
মন্তব্য জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখমাত্র সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে এখনও দুই টাকার কয়েনের প্রচলন আছে। তাই কোনো এলাকায় দুই টাকার কয়েন না নেওয়ার তো কারণ নেই। বাজারে নতুন করে দুই টাকার নোট না ছাড়ার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুই টাকার কয়েন প্রচুর হারে ডেলিভারি হচ্ছে। তার মানে দেশের বাজারে দুই টাকার কয়েনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অসেচতনতার কারণে দুই টাকার কয়েন না চলার ঘটনাটি ঘটতে পারে। -সারাবাংলা
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.