২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়ে ৩৮, নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে কমেছে সংক্রমণ

ডেস্ক নিউজ:
সারাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন মারা গেছেন। আগের দিন এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২৬ জন মারা গেছেন। সে হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল দেড় হাজারের বেশি। তবে আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষাও প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।

শনিবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আগের দিনের মতোই ৪৮২টি পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯২০টি নমুনা সংগ্রহ হয়। আগের দিনের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ২৩০টি। আগের দিন ১৮ হাজার ২৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা কমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এ নিয়ে দেশে নমুনা পরীক্ষা ছাড়িয়ে গেছে ৫৮ লাখ।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হওয়া নমুনার ১ হাজার ২৮টিতে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৬ জনের মধ্যে এই সংক্রমণ শনাক্ত হলো। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আগের দিন ছিল ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৫৯ জন। এ নিয়ে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মোট ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৮ জন মারা গেছেন, তা নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ে মোট ১২ হাজার ৩৪৮ জন মারা গেলেন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে যারা মারা গেছেন, সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এই ৩৮ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী। তাদের ১৬ জন ষাটোর্ধ্ব, ১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তিন জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর। এছাড়া ১১ থেকে ২০ বছর, ২১ থেকে ৩০ বছর ও ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মারা গেছেন দু’জন করে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত এই ২৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭ জন। চার জন করে মারা গেছেন রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের। দু’জন মারা গেছেন রংপুর বিভাগের, একজন মারা গেছেন বরিশাল বিভাগের।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.