২০১৮ সালে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন
ওয়ান নিউজঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম বলেছেন, ‘তত্ত্ব বা ফর্মুলা দিয়ে কিছু হবে না। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আর সেটাই হবে ফাইনাল খেলা। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু ও ঐক্যবদ্ধা বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মাদ নাসিম বলেন, ‘আগামী বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। সে সময় জনগণ যে রায় দেয় সেটা আমরা মেনে নেব। এবার ইলেকশনে আসেন দেখি কি হয় খেলায়। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। তত্ব ফর্মুলা দিয়ে কিছু হবে না। ইলেকশন হবে। শেখ হাসিনার অধিনেই ইলেকশন হবে অন্য কোনো ভাবে না।
সংবিধানের কথা উল্লেখ্য করে তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানে আছে ৩০০ আসনে নির্বাচন হবে এক দিনে। ৫ বছর অন্তর অন্তর, এবং সেখানে বলা আছে নির্বাচন হবে এক দিন, ১৫১ আসনে যারা জয়লাভ করবে তারাই ক্ষমতায় যাবে। সেখানে কোথাও লেখা নাই শতভাগ, ৮০ ভাগ ৯০ ভাগ, ভোট দিতে হবে। সংবিধানে আছে একটি ভোট পড়লেও তারাই নির্বাচিত হবে। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া দোসের কিছু নয়।
বাংলাদেশের বিজ্ঞ আইনজীবী কামাল হোসেন সাহেব জীবনে দুইবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার মানে কি তিনি অবৈধ ছিলেন। খেলার মাঠে যখন খেলা হয় তখন হার জিত থাকে। তারা (বিএনপি) যদি ভয় পেয়ে না আসে তাহলে কি আরেকদল জিতবে না? অবশ্যই জিতবে। এটাই খেলার নিয়ম। নির্বাচন কমিশনকে রেফারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আপনারা খেলার নিয়মই মানবেন না, জিতলে বলেন ভালো আর হেরে গেলেই বলেন খারাপ, এটা কোনো কথা হল নাকি? গোল তো যে কোনো দল যেকোনো সময়ই খেতে পারে।’
বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সহায়ক সরকারের থিউরি শিখেছেন, সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেয়া হয়ে ছিল। সে সময় নেননি কেন? আগুনে মানুষ পুড়িয়ে ট্রেন মিস করেছেন। ট্রেন একবার ছেড়ে গেলে আর ফিরে আসে না। এখন নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যে যতই কথা বলুন না কেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আমরা এনেছিলাম। আন্দোলনের মাধ্যমে। সংগ্রাম করে মাইর খেয়ে এনেছিলাম। আপনারাই সেটা নষ্ট করেছেন। আপনাদের জন্যই তা বাতিল হয়ে গেল।
‘দেশের সংসদ বর্তমানে অকার্যকর’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে নাছিম বলেন, ‘কিভাবে বলেন পার্লামেন্ট অকার্যকর? আমরা পার্লামেন্টে আছি চার বছর ধরে, কিছুইতো করতে পারলেন না। আর আপনারা ৯৫ সালে একবার বসেই আর বসতে পারেন নাই। সবাই মিলে আন্দোলন করে এক মাসের মধ্যে নাময়ে দিয়েছি। আপনারা প্রেসক্লাবের ভিতরেই বক্তব্য দিতে পারেন বাইরে কিছুই করতে পারেন না। সেজন্য যেটা টিকে যায় সেটা টিকেই যায়। সেটা অবৈধ হয় না। সেজন্য বলতে চাই এখনো নির্বাচনের আরো এক বছরের মত সময় আছে। প্র্যাক্টিস করে মাঠে নামেন। প্র্যাক্টিস ছাড়া কেউ জিততে পারে না।
এ সময় খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালনের মাধ্যমে জাতির কাছে হিনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেও মন্ত্রী মন্তব্য করেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা এস এম আবুল কালাম, এমপি প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.