নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলিনি। আমরা তো ২০১৮ সালের নির্বাচনই মানি না। সেটাকেই অবৈধ বলছি। সেটাকেই বাতিল করার কথা বলছি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন মন্তব্য করেন।
রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পাবনা, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ এর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতই ত্রাস সৃষ্টি করে এবং কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সীল মেরে বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দিয়ে ভোট ছিনতাই করে। নির্বাচন কমিশন নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করে। রিটার্নিং অফিসার ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
‘পুলিশের ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ লোকদেখানো’ মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি প্রতিরোধে সরকারের চরম ব্যর্থতা সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজন –সমস্যার একমাত্র সমাধান নয়। ধর্ষকদের সরকারি দলের প্রশ্রয় অথবা ধর্ষক সরকারি দলের সদস্য বলে কোনো বিচার হয় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষকে চরম বিপাকে ফেলেছে। সরকারি দলের মদদপুষ্ট এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও সরকারি ব্যবস্থপনার ব্যর্থতায় ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।
সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি এবং গত রাতে যশোরে দলের স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাসভবন, জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ জেলা নেতাদের বাসায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলা ঘটনার নিন্দা জানান ফখরুল। যশোরের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.