১৬ ইউনিয়নে ২০৯৬ মে.টন লবণের ক্ষয়ক্ষতি

ইমাম খাইর:
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া ও টেকনাফ এই ৫ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ২০৯৬ মে.টন লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সম্ভাব্য বাজারমূল্য গড়ে ১৬১ টাকা হিসেবে যার অর্থের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় অনুমান ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪০০ টাকা।

লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় (বিসিক) কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বুধবার (২৬ মে) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে তার দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডি ১৫,০০০ মণ, ভারুয়াখালী ১০,০০০ মণ, খুরুশকুল ৩,০০০ মণ, পিএমখালী ৪,০০০ মণ, ঝিলংজা ১,০০০ মণ, গোমাতলী ১,০০০ মণ।

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ৪,০০০ মণ, ধলঘাটা ৪,৫০০ মণ, কালারমারছড়া ২,০০০ মণ, হোয়ানক ২,০০০ মণ।

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ৫০০ মণ, উজানটিয়া ১,২০০ মণ, রাজাখালী ১,২০০ মণ।

চকরিয়ার ডেমুশিয়া ১,০০০ মণ, বদরখালী ১,০০০ মণ।

টেকনাফের সাবরাং ১,০০০ মণ।

ডিজিএম মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, লবণচাষিগণ সাধারণত: তাদের উৎপাদিত লবণ মৌসুম চলাকালীণ পর্যায়ক্রমে লবণমাঠেই  গর্তে পলিথিন দিয়ে মজুদ করে রাখে। ফলে জোয়ার বা অন্য কোন কারণে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও মজুদ লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয় ন। মৌসুমের শেষের দিকে বিক্রয়ের জন্য কিছু লবণ সাময়িকভাবে মাটির উপরে মজুদ থাকে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে ওই লবণের কিছু অংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিসিকের তথ্য মতে, এবছর জেলায় লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২২.১৭ লক্ষ মে.টন। এই পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখের মতো উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমে সাড়ে ৩ লক্ষ মে.টন উদ্বৃত্ত রয়েছে। অবিক্রিত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে প্রায় সোয়া ১০ লক্ষ মে. টন। সব মিলিয়ে ৩০ লক্ষ মে.টনেরও বেশি লবণ মজুদ আছে। সেই হিসেবে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে ছাড়িয়েছে।

লবণচাষিদের ভাষ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলেও দেশীয় লবণে কোন ধরণের প্রভাব পড়বে না।

 

 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.