১৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী এডভোকেট খাইরুল আমিনের নির্বাচন বর্জন

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ উখিয়া-টেকনাফ আসনের সরকার দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে জেলা পরিষদ নির্বাচনের অনুষ্ঠানের এক দিন আগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ১৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট খাইরুল আমিন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যকর্মীদের নিকট তিনি সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এডভোকেট খাইরুল আমিন জানান, এমপি বদি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চেীধুরীর পক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। গোপন জায়গায় ডেকে নিয়ে ভীতি প্রদর্শন করছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণে শঙ্কা প্রকাশ করে পরপর দুইবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগও করেছিলেন।
এছাড়া তাঁর ভোটকেন্দ্রটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছিলন। কিন্তু তাতে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে ভোটের মাত্র ১দিন আগে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন এডভোকেট খাইরুল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট খাইরুল আমিন জানান, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয়পার্টি জেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন হচ্ছে আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগ। এ অবস্থায় দুই পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হলে আওয়ামীলীগই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই দলের বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে স্থানীয় সাংসদের কর্মকান্ড ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকাকে দায়ী করেছেন।
সাংবাদিকদের তিনি আরো জানান, নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে স্থানীয় সাংসদ স্থানীয় গত ২৩ ডিসেম্বর ১৪ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিদের জন্য ইনানী সৈকতের পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টেউলিপ সী-পার্ল এ মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। সেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হুমায়ুন কবির চৌধুরীর তালা মার্কায় ভোট প্রয়োগে চাপ সৃষ্টি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর উখিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাঝে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা প্রকল্প বরাদ্দ দেয়ার সময় হুমায়ুন কবির চৌধুরীর জন্য ভোট দাবী করেছেন। হুমায়ুন কবিরের পোলিং এজেন্টকে দেখিয়ে তার প্রতীক ‘তালা’ মার্কায় সীল মারার নির্দেশ দেন। যা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্গন হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ ডিসেম্বর হলদিয়া পালং এর চেয়ারম্যানের বাড়িতে, ২০ ডিসেম্বর রাজা পালং চেয়ারম্যানের বাড়িতে, ২১ ডিসেম্বর পালংখালী চেয়ারম্যানের বাড়িতে এবং ২২ ডিসেম্বর রতœাপালং চেয়ারম্যানের বাড়িতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ১২ জন মেম্বার ও মহিলা মেম্বারকে ডেকে সাংসদের দোহাই দিয়ে গোপনে ভোট না দিয়ে প্রকাশ্যে হুমায়ুন কবিরের তালা মার্কায় সীল মারার জন্য বলেন। প্রকাশ্যে তালা মার্কায় ভোট দিতে না পারলে ভোট কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দেয়া হয়। এরপরও কোন ভোটার তালা মার্কায় ভোট না দিলে তাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো এবং মারধরের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে ভোটাররা আতংকিত ও শংকিত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. আলী হোসেন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের অভিযোগও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। এরপরও কেউ নির্বাচন বর্জন করতে সেটি ব্যক্তিগত বিষয়।সুত্রঃ সিবিএন

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.