১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ জনসভার ঘোষণা দেন।

রিজভী বলেন, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে আবারো ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা কলাকৌশল ও নীলনক্সা তৈরি করেছে এই অবৈধ সরকার। আর এই প্রহসনের অংশ হিসেবেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে সরকার গায়ের জোরে দূরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, অন্যায় পথে নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়া জনসমর্থনশূন্য আওয়ামী লীগের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের অন্য কোনো উপায় নেই। তাই নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিয়ন্ত্রণে রেখে আবার ক্ষমতায় যেতে চান। সেজন্য বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার নির্যাতন-নিপীড়ন এবং যতো রকম কৌশল আছে সরকার প্রয়োগ করছে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ কথাটা তামাদি করে ফেলেছে আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট নুরুল হুদা কমিশন। সরকারের পক্ষে ইসির নজিরবিহীন পক্ষপাতিত্ব ভোটারদেরকে হতাশ ও ক্ষিপ্ত করে তুলছে।

রিজভী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশব্যাপী গ্রেফতারের মহোৎসব চলছে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে গ্রেফতারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২০০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। যারা ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং প্রার্থী হয়ে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এধরণের ২৭ জন নেতা মিথ্যা মামলায় এখন কারাগারে আটক আছেন।

তিনি বলেন, সারাদেশে যারা ভোট গ্রহণ করবেন সেই ডিসি, এসপি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনের নির্দেশনা তো ইসি দেয়ইনি; উল্টো তাদের পক্ষপাতিত্বের দিকেই উস্কে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনে দফায় দফায় ডেকে এনে সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সংলাপের নামে বিএনপি প্রার্থীদের হয়রানী করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। অধিকাংশ রিটার্নিং অফিসার আওয়ামী অনুমোদিত মনোবৃত্তির দ্বারা প্রণোদিত।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, আইন মন্ত্রণালয়ে জেলা দায়রা জজদের নিয়ে একটি সভা হয়েছে। সেখানে আইন সচিব নির্দেশ দিয়েছেন যে, নির্বাচনের আগে তারা যেন বিএনপির কাউকে জামিন না দেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গ্রেফতার বাড়াতে মনিটরিং সেলও খোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বদলে আসন্ন নির্বাচন আবর্জনাময় হয়ে উঠতে পারে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.