হোয়াইক্যংয়ে কথিত প্রেমিকের ধর্ষণে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা! প্রাণ নাশের হুমকী

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

হোয়াইক্যং নয়াপাড়া বটতলী আব্দুর রশিদের মেয়ে পিমা আক্তারের সাথে একই এলাকার হাসান আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ (২২) প্রকাশ (সোনা মিয়া)র সাথে অবৈধ সম্পর্কে শারীরিক মেলা মেশায় ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী যুবতী জানান, হাসান আলী’র পুত্রের সাথে এক বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

তখন সে কুরআন ছুঁয়ে শপথ করে মেয়েটিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে-অসময়ে শারীরিক মেলামেশা করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে মেয়েটি এখন ৭মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে আব্দুল্লাহকে বিয়ের প্রস্তাব করে। সে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বাচ্চা নষ্ট করার জন্য ওষুধ এনে দেয়। ওষুধ সেবনের পরেও বাচ্চা নষ্ট না হওয়ায় যেকোনো উপায়ে মেয়েটিকে বাচ্চা নষ্ট করতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

আব্দুল্লাহ একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী হাসান আলীর ছেলে হওয়ায় টাকার বিনিময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিজের পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে অন্তঃসত্তা মেয়েটি নিরুপায় হয়ে পরিবারের মূল অভিভাবক বাবা না থাকায়, নিজের চাচার সহযোগিতায় আইনের আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করলে,ধর্ষক আব্দুল্লাহ’র পরিবার মেয়ের চাচাকে বাঁধা দেয়।

বাঁধা দেয়ার একপর্যায়ে ধর্ষক আব্দুল্লাহ, তার বাবা হাসানসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার এবং সংবাদ কর্মীরা নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে তাঁদেরকেও বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে ও হুমকি-ধমকি দিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার আইনের আশ্রয় না নেয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের দিয়েও চাপ প্রয়োগ করাচ্ছে।এমনকি মেয়েটি যদি কোন ধরণের আইনের আশ্রয় নেয়, হইতো বাড়ি ছাড়া করবে, না হয় প্রাণের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার আব্দুল গফ্ফারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সমাজের সরদারের মাধ্যমে যদি সমাধান না হয়, তাহলে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

এই ব্যাপারে ধর্ষক আব্দুল্লাহ’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে,সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তার পিতার কাছে জানতে চাইলে, সে কখনো নিজের ছেলের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়।
এদিকে দেশে নারী ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের দায়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঝড় উঠলেও দরিদ্র-অসহায় কৃষক পরিবারের ৭মাসের অন্ত:সত্তা এই যুবতির অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় কে বহন করবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন, স্থানীয় সচেতন মহল।

এই ভুক্তভোগী অসহায় গর্ভবতী মেয়ের পরিবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.