মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
অতিরিক্ত তাড়ি পান করে মাতাল অবস্থায় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় যুবক নয়নকে। নয়ন হত্যাকান্ডে গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি মানিক হোসেন আজমীর একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ১১ মে দুপুরে নাসির ইসলাম নয়নের (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখান পাড়ার শাহজাহান শেখের ছেলে। পাশ্ববর্তী মঙ্গলপুর গ্রামের মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তির নির্মানাধীন বাড়ির পিছনে বালির নিচে নয়নের লাশ পুতে রেখেছিল ঘাতক মানিক।
ঘটনার ৫ দিন পর গত ১৬ মে রবিবার পুলিশ এ হত্যাকান্ডের একমাত্র ঘাতক মানিক হোসেন ওরফে আজমীরকে গ্রেপ্তার করে। সে উজানচর ইউনিয়নের দরাপের ডাঙ্গী গ্রামের হিরু শেখের ছেলে। সে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকারো করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেন জানান, মানিক হোসেন
ওরফে আজমীরকে চর দৌলতদিয়া হামিদ মৃধার হাট এলাকায় তার নানা বাড়ি হতে
গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাজবাড়ীর চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক
সুধাংশু শেখরের আদালতে সে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকারোক্তি করে জবানবন্দি দিয়েছে।
এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
মানিকের উদ্ধৃতি দিয়ে এসআই মুরাদ আরো জানান, নয়নের সাথে মানিকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার রাতে তারা একসাথে বসে তারি (নেশাদ্রব্য) খায়। এরপর তাদের মধ্যে মাতলামি ভাব আসলে একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় হাতের কাছে থাকা হাতুরি দিয়ে মানিক নয়নের মাথার পিছন দিকে সজোরে আঘাত করে। এতে সে লুটিয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষন পর মারা যায়।
এরপর লাশ গোপন করার জন্য সে একটি কোদাল সংগ্রহ করে মশিউর রহমানের বাড়ির পিছনে বালির নিচে পুঁতে রাখে। এ হত্যাকান্ডের সাথে সে ছাড়া আর কেউ জড়িত ছিল না বলে আদালতকে জানায়।
১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৪০
পরের খবর

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.