নিজস্ব প্রতিবেদক:
অসুস্থতার কারণে টাকা নিয়েও মাছ ধরতে সাগরে যেতে পারেনি জেলে। এ অপরাধে গত মঙ্গলবার জেলে ফজল করিমকে বাড়ি থেকে ধরে এনে ফিশিং ট্রলারের মাঝি নাছিরসহ কয়েকজন মিলে মারধর করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের জুম্মা পাড়া এলাকার নুরুল আলমের পুত্র নাছির মাঝি বাঁশখালী উপকূলের এক ফিশিং কোম্পানির ট্রলার ২৫ জেলে নিয়ে ৩ মাস ধরে সাগরে মাছ ধরতে যায়। উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের ছাদের ঘোনার বদিউল আলমের ছেলে ফজল করিমও ঐ ট্রলারে জেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
অসুস্থতার কারণে সে এক ট্রিপ সাগরে মাছ ধরতে যায়নি। তাদের হিসাব মতে ফজল করিম থেকে নাছির মাঝি ৫ হাজার টাকা পাওনা আছে। এই ৫ হাজার টাকার জন্য জেলে ফজল করিমকে ধরে এনে নাছির মাঝি তার লোকজন নৃশংসভাবে মাটিতে ফেলে পেটায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরো জানা যায়, বেধড়ক পিটুনিতে ফজল করিম সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তার বুকের উপর উঠে নৃত্য করে উল্লাস প্রকাশ করে নাছির মাঝিসহ তার অন্য সহযোগীরা। বুকে আঘাতের ফলে রাতে ফজলের মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে প্রথমে দ্রুত কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ অক্টোবর রাতে ফজল করিম মৃত্যুবরণ করেন।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, মারধর এবং মৃত্যুর খবরটি তিনি শুনেছেন।উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার বলেন, পাঁচ হাজার টাকার জন্য মারধর করেছে বলে স্থানীয়ভাবে শুনেছি। মৃত ফজল করিমের স্ত্রী
সহ দুই কন্যা সন্তান আছে। নিহতের বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.