জে.জাহেদ ,চট্টগ্রাম ব্যুরো:
কক্সাবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের স্বাদ চট্টগ্রামে কিছুটা হলে মেটায় আনোয়ারার পারকি বীচ। প্রকৃতির সেই সৌন্দর্যও এখন জিরো হতে চলেছে।
১৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এমভি ক্রিস্টাল গোল্ড নামে জাহাজ সোমালিয়া উপকূলে তাড়া খেয়ে এখন গিলে খাচ্ছে পারকি বীচের সৌন্দর্য। বর্তমানে পারকির ডাইনোসর খ্যাত জাহাজটি ডাঙ্গায় ওঠে আসার কারণে সাগরের উত্তাল ঢেউ বীচে পলি জমাচ্ছে, ভাঙ্গছে উপকূল।
দিনটি ছিল ২০১৭ সালের ৩০শে মে। ঘ‚র্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে দুপুরে প্রচন্ড ঝড়ো হাঁওয়া। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ‘ক্রিস্টাল গোল্ড’ নামে জাহাজটি আনোয়ারা পারকির চরে আটকে পড়ে বলে প্রচলিত।
প্রায় এক বছর ৫ মাস অতিবাহিত। জাহাজটি আটকে থাকায় শোভা ছড়ানো সৌন্দর্যমন্ডিত মনোমুগ্ধকর পারকির পর্যটন স্পটগুলো এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে। উদ্যোগ নিচ্ছেনা প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর। ¯্রােতে ঁেভসে আসা একটি জাহাজেই কাল হয়ে দাড়াচ্ছে পারকি বীচের ভবিষ্যত।
জোয়ার এলেই গোটা সৈকত তলিয়ে থাকে ৫/৭ ফুট সাগরের লোনা পানিতে। এরপরই বিকালে শুরু হয় প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর পারকি বীচের অপরুপ দৃশ্য। কিন্তু রাক্ষুসে একটি জাহাজ ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে আনোয়ারা উপজেলার বীচটি। কুলে আছড়ে পড়া সাগরের ঢেউ ‘এমভি ক্রিস্টাল গোল্ডে’ বাঁধা পাচ্ছে। ফলে গতি পরিবর্তন হচ্ছে ¯্রােতের । জমছে পলি, পারকি হারাচ্ছে তার আসল রুপ।
দিন দিন সব সৌন্দর্য যেন গিলে খাচ্ছে দানব আকৃতির জাহাজটি। দীর্ঘ দেড় বছরের নীরবতা যেন প্রকৃতি ধ্বংসের এক নগ্ন প্রতিযোগীতায় নেমেছে। পারকি সৈকতে ভ্রমনে আসা পর্যটক শ্যামল কুমার বলেন, ‘স্বর্গীয় রুপে সজ্জিত যেন আনোয়ারার পারকি বিচ যা কক্সবাজার সৈকতের কিছুটা হলেও স্বাদ মেটায়। যেখানে প্রকৃতি তার সকল সৌন্দর্য ঢেলে সাজিয়েছে কিন্তু বর্তমানে জাহাজটির কারণে বীচের প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করি’।
পড়ন্ত বিকেলে পারকি বীচে আসা শত শত দর্শনার্থীরা সাগরের পানিতে ¯œান করত। প্রকৃতি আর ঝাউবীথির সবুজ চত্বরে শান্তি খুঁজে প্রকৃতি প্রেমিক মানুষেরা। এ বীচকে কেন্দ্র করে রাস্তা-ঘাট, হোটেল-মোটেল সব কিছুই হচ্ছে দ্রæত।
বেশ কয়েক বছরে তা চট্টগ্রামের অন্যতম দর্শনীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ঘুরে দাড়ানোর মুর্হুতেই সময়ের পরিক্রমায় আনোয়ারাবাসীকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ‘এমভি ক্রিস্টাল গোল্ড জাহাজটি’। অব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পারকি সৈকত তার নিজস্ব বৈচিত্র হারালেও এগিয়ে আসছেনা কেহ।
আমরা প্রকৃতি চাই, প্রকৃতির রুপ, রস, গন্ধ আর সৌর্ন্দযময় উপভোগ করতে চাই কিন্তু প্রকৃতির দান রক্ষণাবেক্ষণে যেন বড় উদাসী।
স্থানীয় সংবাদকর্মী জাহাঙ্গীর আলম এর ভাষায়,‘বর্তমানে ধ্বংসপুরী এই পারকি বীচ যেন তার ইতিহাস-ঐতিহ্য রুপ হারিয়ে ক্রমশ ফিঁকে হতে চলেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কুলে ভেসে আসা বিরাট জাহাজটির কারণে সমুদ্র তটনীতে ভাঙ্গন হচ্ছে। প্রাকৃতিক শোভা বাড়ানো পারকি বীচ বিলীনের পথে হাঁটছে।’ সরকার গৃহীত প্রায় ৬২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে জাহাজটি বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন তিনি।’
আনোয়ারার স্থায়ী বাসিন্দা সুমন শাহ্ বলেন, ‘পারকি বিচ একটি অর্থনৈতিক জোন। অথচ সেই পারকি সৈকতের উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো না। তার উপর সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়া জাহাজটি অপসারণে চেষ্টা করতে গিয়ে একবার জাহাজটির মালিক পক্ষ সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকার মাটি কেটে তছনছ করেছে।’
অনেকের ধারণা, জাহাজটি এখান থেকে সরাতে হলে এটিকে এখানেই কাটতে হবে। ফলে পুরো এলাকা জাহাজের বর্জ্য ও নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থে সয়লাব হয়ে যাবে। সরকার গৃহীত পারকি পর্যটন উন্নয়ন তখন ব্যাহত হবে। কারণ পারকি সৈকত পর্যটন স্পট, এটা কোন শিপব্রেকিং ইয়ার্ড নয়।
স্থানীয়দের মতে, ‘পারকির চর সৈকতের উন্নয়নে পর্যটন কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ জরুরী। পরিকল্পিত উন্নয়ন ও তদারকির অভাবে যেন পারকি তার নিজস্ব বৈচিত্র না হারায়। সেটাই ভাবছে এলাকার জনগণ।’
পর্যটকদের অভিমত, ‘কোন কারণে পারকি বিচ তার সৈকত হারালে, পর্যটকরা এসে স‚র্যোদয়-স‚র্যাস্তসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পারলে দর্শনার্থীরা বিমূখ হবে অচিরেই।’
শিক্ষিত সচেতন মহলের একটি অংশ দাবি তুলে বলেন, পারকি বিচের উন্নয়নে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করে জরুরী ভিত্তিতে সৈকত রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন।’
কিভাবে ক্রিস্টাল গোল্ড জাহাজটি সোমালিয়া জলদস্যুর কবলে পড়ে পারকিতে আসে:
জানা যায়, ২০১৪ সালের ০১ মার্চ ক্রিস্টাল গোল্ড নামে এই জাহাজটি আরব সাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়েন। জাহাজের ক্যাপ্টেনের বিচক্ষণতায় সম্ভাব্য জলদস্যুর হামলা থেকে রক্ষা পায়। পরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে পারকির চরে আটকে যায় জাহাজটি। জলদস্যুদের হামলার বিষয়টি টের পেয়ে সেসময় তাৎক্ষণিক মালিকপক্ষকে কার্যালয়ে বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিল।
এরপর সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মাধ্যমে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সহযোগিতায় জাহাজটিকে রক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন জাহাজের মালিক। সেদিন পাকিস্তান উপক‚ল থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দ‚রে এ ঘটনা ঘটেছিলো।
ভারতের কাডলা বন্দরে ২৭ হাজার টন পণ্য খালাস করে ইরানের বন্দর আব্বাসে যাওয়ার পথে আরব সাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি ক্রিস্টাল গোল্ড। বাংলাদেশ সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের তৎকালিন চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন সরকার এমভি ক্রিস্টাল গোল্ড জাহাজে জলদস্যুদের হানা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন তখন।
প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার জাহাজটি দ্রæত নিরাপদে পাকিস্তান সমুদ্র উপক‚লে ফিরতে সক্ষম হয়। তখন জাহাজে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন বলে জানা যায়।
কেন ১ বছর ৫মাস ধরে আটকে আছে এমভি ক্রিস্টাল গোল্ড:
জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামের ব্যবসায়ি ও জাতীয় পার্টির নেতা, ক্রিস্টাল গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম।
জাহাজের ক্যাপ্টেন মো. জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাহাজটির ক্রুদের বেতন বকেয়া পড়ায় জাহাজ মালিকের বিরুদ্ধে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার পাওনা আদায়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেন জাহাজের ক্যাপ্টেন মো. জাকির হোসেন ও প্রধান প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন। এরপর ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর উচ্চ আদালত জাহাজটি আটকের নির্দেশ জারী করে।
আরো জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর ক্রিস্টাল গোল্ড জাহাজের মাস্টার ও প্রধান প্রকৌশলীসহ ৫ নাবিক তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের বিষয়ে নৌ-পরিবহন অধিদফতরে অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নৌ-পরিবহন অধিদফতরের উপ-পরিচালক (শিপিং) মো. শাহজাহান হাওলাদার ক্রিস্টাল আইজি নেভিগেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা বরাবর নাবিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের তাগিদপত্র দেন।
এমনকি ‘নাবিক রিক্রুটিং এজেন্ট (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০০৫ এর বিধি (৭) (খ) মোতাবেক নাবিকদের যথাসময়ে বেতন পরিশোধ করা জাহাজ মালিক ও কোম্পানির দায়িত্ব। ’তাই জাহাজের নাবিকদের বেতন পরিশোধ করে দ্রæত নৌ-পরিবহন অধিদফতরকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নাবিকদের বেতন পরিশোধ করেনি চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টাল গ্রæপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশন লিমিটেড।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ক্রিস্টাল গোল্ড’ জাহাজের ১১ জন নাবিক তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া যৌথ ও পৃথকভাবে একাধিক অভিযোগ নৌ-পরিবহন অধিদফতর, নৌ-বাণিজ্য অধিদফতর, সরকারি শিপিং অফিস ও নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদফতরে জমা পড়েছে।
অপরদিকে সুত্রে জানা যায়, জাহাজটি নিলাম ওঠার কথা কিন্তু সে বিষয়ে চুড়ান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ জাহাজটি জাপান থেকে ১৯৮৫ সালে আমদানি করা হয়, যার নেট নিবন্ধিত পরিবহন ক্ষমতা ৯ হাজার ২০৮ টন বলে জানা যায়।
ব্যাংক স‚ত্রে জানা যায়, ক্রিস্টাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আইজি নেভিগেশন লিমিটেড ছাড়াও রয়েছে ক্রিস্টাল নেভিগেশন লিমিটেড, বে নেভিগেশন লিমিটেড, ক্রিস্টাল ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড, ইব্রাহিম ফার্মস লিমিটেড, ম্যাক ট্রেড লিমিটেড, ক্রিস্টাল ফিশারিজস লিমিটেড, এমআরএফ ফিশারিজস, ফারুক অ্যান্ড সন্সস লিমিটেড প্রভৃতি।
গ্রæপটি বাণিজ্যিকভাবে জাহাজ পরিচালনা ব্যবসা, মাছ ধরার ট্রলার, প্লাস্টিক পণ্যের রি-সাইকেলিং, ট্রেডিং ব্যবসা ও জাহাজ ভাঙার শিপইয়ার্ড ব্যবসার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করে। এর মধ্যে চার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের আছে একাই রয়েছে ৪০৭ কোটি টাকা। এছাড়া রূপালী ব্যাংকের আছে ৫২ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের আছে ১৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্স্যাস লিমিটেডের আছে পাঁচ কোটি টাকা। এসব অনাদায় ঋণ আদায় নিয়ে বিপাকে আছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ ব্যাপারে ক্রিস্টাল গ্রæপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যায়, তিনি নিয়মিত অফিসে বসেন না। ফলে তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
আনোয়ারার পারকি বীচ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের অভিমত:
প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদীর মোহনার পশ্চিম তীরে পারকি সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের একটি অন্যতম পর্যটন এলাকা। পারকি সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আনোয়ারা থানায় অবস্থিত। এটি’র ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমি কিংবা বিমানবন্দর এলাকা থেকে কর্ণফুলী নদী পেরোলেই পারকি চর।
পারকী সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার আঁকা বাঁকা পথে দেখা মিলে ছোট ছোট পাহাড় । চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিঃ (সিউএফল) এবং কাফকোর দৃশ্যও পর্যটকদের প্রাণ জুড়ায়। পারকি বীচে যাওয়ার পথে কর্ণফুলী নদীর উপর প্রমোদতরীর আদলে নির্মিত নতুন ঝুলন্ত ব্রীজ চোখে পড়ে।
বীচে ঢুকার পথে সরু রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ, সবুজ প্রান্তর আর মাছের ঘের দেখা যায়। বীচে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো অসংখ্য ঝাউবীথি গাছ আর ঝাউবন দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলার পারকি এলাকার ২নং বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ‘চিটাগাং বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির মেম্বার মোঃ আবদুল কাইউম শাহ বলেন, ‘জাহাজটির কারণে পারকি সৈকত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে পুরো এলাকায় দ‚ষণ বাড়ছে।’
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গৌতম বাড়ৈ বলেন, ‘জাহাজটির মালিক কিংবা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে এখনো পর্যন্ত সাক্ষাৎ হয়নি। শুনেছিলাম বালু সরিয়ে মাটি কেটে জাহাজটিকে টেনে সমুদ্রে ভাসিয়ে উদ্ধার করতে চাইছে তারা। তবে এখনো কেহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.