‘সুমাইয়াকে পাচার করতে চেয়েছিল বৃষ্টি’
ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ অনৈতিক উদ্দেশ্যেই শিশু সুমাইয়াকে (৪) অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খাঁন।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে অপহৃত শিশু সুমাইয়াকে ২৪ দিন পর উদ্ধার করার পর বৃহস্পতিবার পৌনে ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, বৃষ্টি এর আগে বেশ কয়েকবার ভারতে যাওয়া-আসা করেছে। সেখানে পাচারচক্রের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে অপহৃত শিশু সুমাইয়াকে ২৪ দিন পর উদ্ধার করার পর বৃহস্পতিবার পৌনে ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ইব্রাহীম খাঁন জানান, অপহরণের পর শিশু সুমাইয়াকে জুরাইনের রহমতবাগ এলাকার দক্ষিণ ধনিয়ায় কামাল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বৃষ্টির বাবা সিরাজুল ইসলাম ভাড়া থাকেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ৩টার দিকে সে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ শিশু সুমাইয়াকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি ও তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় আনিসুর রহমান, বিল্লাল হোসেন ও নাছির নামের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতার বৃষ্টির বরাত দিয়ে ইব্রাহীম খাঁন জানান, বৃষ্টি সুমাইয়াদের সাথে ওই বাড়িতে আগে ভাড়া ছিলো। ঘটনার দিন বৃষ্টি সেই বাড়িতে বাড়িওয়ালার সাথে দেখা করতে যায়। বাড়িওয়ালাকে না পেয়ে সুমাইয়াদের বাসায় যায়। আসার পথে বাসার সামনে থেকে সুমাইয়াকে কথা বলতে বলতে নিয়ে যায়।
২৪ দিন ধরে সুমাইয়াকে দক্ষিণ দনিয়ার ওই বাসায় রাখে বৃষ্টি।
অপহৃত শিশুর বাবা জাকির হোসেন বলেন, কেন আমার মেয়েকে অপহরণ করেছিল তা জানা নেই। তবে আমার মেয়েকে পেয়েছি এতেই আমি খুশি। আর কোনো শিশু যেন এভাবে অপহৃত না হয়। কোনো বাবা-মায়ের কোল যেন ফাঁকা না হয়।
গত ৩ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় সুমাইয়া (৪)।এ ব্যাপারে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা হয়। পরে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থেকে পুলিশ বৃষ্টিকে শনাক্ত করে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.