বার্তা পরিবেশকঃ
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান , পর্যটন উদ্যোক্তা ও কক্স কুটুমবাড়ির রেস্টেুরেন্ট এর মালিক রূপা পাশা কক্সবাজারের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জল কর থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট ড্রাগন মাঠ মার্কেট থেকে ২টি দোকান নোটারী মূলে ক্রয় করে। যার নং ১৫১/ ১১-০৩-২০১৮ । ক্রয়ের পর কয়েকমাস ভালভাবে ভাড়া পেলেও এখন ভাড়াটিয়ারা তাকে ভাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে । এতে রূপা পাশা ও তার স্বামী নুরুল কবির পাশা অসহায় হয়ে বিচার চাইতে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরার পর শেষমেষ আদালতের আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান। এখন মোয়াজ্জেম হোসেন শাওন দোকানের মালিকানা দাবি করে দোকান ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জোর করে ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রূপা পাশা জানান, গত ২০১৮ সালের মার্চের ১১ তারিখ পৌর শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকার বাসিন্দা সমেরেন্দ্র কর এর ছেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জল কর থেকে তার দখলীয় সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় ড্রাগন মাঠ মার্কেট থেকে ৫ ও ৬ নং দোকান দুটি ২০লক্ষ টাকায় ক্রয় করে এবং মালিকানা বুঝিয়ে দেন উজ্জল কর। পরে ৫নং দোকানটি বিমানবন্দর এলাকার নজু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম ও ৬নং দোকান মধ্যম বাহারছড়ার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে আব্দুল হামিদকে প্রতিটি মাসিক ২৫ হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয় । তাদের দুজনের সাথে আমার ৩শত টাকা দামের স্ট্যাম্প হয় চুক্তি ৩ বছরের জন্য । বেশ কয়েক মাস ভালভাবে ভাড়া আদায় করলেও গত ৭ থেকে ৮ মাস কোন ধরনের ভাড়া প্রদান করছে না । ভাড়া চাইতে গেলে তারা বলে এটি আপনার দোকান নয়, আপনাকে আমরা ভাড়া দিব না। অন্যদিকে ৬ নং দোকানের ভাড়াটিয়া ও আব্দুল হামিদ আমাকে ভাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমি সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রন আদালতে রেন্ট কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স এর ১৯(১) ধারা মতে বাড়ী ভাড়া মিচ মামলা ১২/২০২২ দায়ের করি। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি দিয়ে আসছে।অন্যদিকে দোকান তাদের দখলে রেখে জামানতের টাকা ফেরত নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এদিকে আমরা প্রতিবছর দোকানের নামে ট্যাক্স প্রদান করে আসছি যা কখনো বকেয়া রাখা হয়নি।
রূপা পাশার স্বামী নুরুল কবির পাশা পল্লব জানান, আমার বাড়ি কক্সবাজারের টেকপাড়া হলেও আমি বিয়ে করি ঢাকা থেকে। আমার শশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে নিজের মেয়ের নামে দুটি দোকান ক্রয় করে দিয়েছিল। এখন তা আমরা হারাতে বসেছি। এই বিচার নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে গেলেও কোন সুরাহা এখনো পাইনি । আমার স্ত্রীর নামে পৌর আওয়ামী লীগের নেতা উজ্জল কর এর কাছ থেকে নগদ ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে এই দোকান দুটি ক্রয় করেছিলেন। এখন মালিক বনে গেছে আরেকজন । আমাকে ভাড়া দিচ্ছেনা গত কয়েক মাস ধরে।
এদিকে ড্রাগন মার্কেট এর ৫ নং দোকানের ভাড়াটিয়া দিদারুল আলম জানান, আমি বর্তমানে যে দোকানটি করছি তা রূপা পাশার স্বামী পল্লব ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়েছিলাম । গত ৭- ৮ মাস আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী শাওন আমার দোকানে এসে তালা লাগিয়ে দেয়। তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানের মালিক আমি । তোমরা কার কাছ থেকে নিয়েছো? তা আমার দেখার বিষয় নয় , আমার দোকান আমাকে ভাড়া দিতে হবে অন্যথায় ছেড়ে দিতে হবে । বাধ্য হয়ে আমরা তার সাথে সমঝোতা করে এখন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি । যদি রূপা পাশা বা তার স্বামী মালিকানা দেখাতে পারে বা শাওন ও তাদের মধ্যে সমঝোতা হয় তবে যিনি মালিক হবেন তাকেই আমরা ভাড়া দিব।
৬নং দোকানদার আব্দুল হামিদ জানান, এখানে আমাদের কোন হাত নেই । আমরা এখন শাওন ভাইকে ভাড়া দিচ্ছি কারণ এই মার্কেট এর মালিক তিনি । প্রতিবেদক উজ্জল কর থেকে দোকানটি রূপা পাশা ক্রয় করেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রথমে আমরা পল্লব ভাইয়ের কাছ থেকে দোকান নিয়েছিলাম । কিন্তু পরে শাওন ভাই মালিকানা দাবি করলে আমার নিরুপায় হয়ে তাকে ভাড়া প্রদান করছি। যদি তাদের মালিকানা ঠিক হয় তবে আমরা যিনি মালিক তাকে ভাড়া প্রদান করবো।
দোকান বিক্রেতা আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জল কর জানান, আমার দখল স্বত্ত আমি বিক্রি করেছি। বিক্রির পর রূপা পাশা দোকান দুুটি ভাড়া দিয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে । এখন কোন সমস্যা হলে যারা সমস্যা করছে কেন করছে তা জানা দরকার এধং আইন শৃংখলা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করছি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.