সিলেটে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহে শ্রদ্ধা

ওয়ান নিউজ ডেক্সঃ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। সেখানে শত শত মানুষ তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাচ্ছে। সোমবার ( ০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার একটু আগেই তাঁর মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি সেখানে পৌঁছায়।

এর আগে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সিলেটে নেওয়া হয়। সিলেটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ সুনামগঞ্জের নতুন কোর্ট চত্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। জেলার সব শ্রেণী-পেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-২ আসন দিরাই-শাল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে। প্রথমে তার মরদেহ নেওয়া হবে শাল্লা উপজেলায়, পরে তার জন্মভূমি দিরাইয়ে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেষকৃত্য হবে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আচ্ছাদিত হয়েছে কালো কাপড়ে। কালো কাপড়ের সামিয়ানার নীচে স্থাপন করা হয়েছে কালো মঞ্চ। শ্রদ্ধা জানাতে আসা ব্যক্তিদের শৃঙ্খলার জন্য শহীদ মিনারে প্রবেশ নির্বিঘ্ন করতে কালো কাপড় মোড়ানো বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সারিবদ্ধ পথ।

প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল থেকে লোকে লোকারণ্য। এসেছেন যুদ্ধকালীন তার সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধারা এবং রাজনৈতিক সতীর্থরা।

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন কামরান,সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী,সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনম শফিকুল হক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আফম কামাল, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ব্যারিষ্টার আরশ আলীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।

গতকাল রোববার ভোররাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যান।সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে। প্রথম জীবনেই বামপন্থী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া সুরঞ্জিত দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হন। তবে সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ না করে সে সময় তাকে মন্ত্রী হিসাবে রাখেন শেখ হাসিনা।

সুরঞ্জিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি। আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলেরও সদস্য।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.