সিরিয়ায় তুরস্কের সেনা অভিযান কি আসন্ন?

ওয়ান নিউজ ডেক্স: সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে কুর্দি বিরোধী সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। তুরস্কের মধ্যাঞ্চলীয় ‘কোনিয়া’ প্রদেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে ‘যেকোনো মুহূর্তে’ নতুন করে অভিযান শুরু করতে পারে।

এসময় তিনি বলেন, ফোরাত নদীর পূর্ব তীরে কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওয়াইপিজি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এ অভিযান চালানো হবে। ওয়াইপিজিকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে’র বর্ধিত সংস্করণ ও একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে তুরস্ক।

তুরস্কের অভ্যন্তরে কুর্দিদের জন্য একটি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে গঠনের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সাল থেকে আঙ্কারার বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করছে পিকেকে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা যেকোনো মূহূর্তে সিরিয়ার অভ্যন্তরে যেকোনো স্থানে বিশেষ করে আমাদের ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অভিযান শুরু করতে পারি। তবে এই অভিযানে মার্কিন সেনাদের কোনো ক্ষতি হবে না।

ওয়াইপিজি গেরিলাদেরকে ওই এলাকা ত্যাগ করতে হবে- জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্ক সীমান্তে তারা সমস্যা তৈরি করছে যা সহ্য করা আঙ্কারার পক্ষে সম্ভব নয়। খবর পার্সটুডের

এদিকে পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার সিয়ান রবার্টসন এক বিবৃতিতে বলেন, সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে যে কোন পক্ষের একতরফা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ মেনে নেবো না।’

কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) জোটের আওতায় ওয়াইপিজির সাথে মার্কিন বাহিনী ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। জোটটি চরম উগ্রবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রবার্টসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে কাজের সমন্বয় ও আলোচনা করেই এই এলাকার নিরাপত্তা ইস্যুটি সমাধান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্প্রতি সিরিয়া প্রশ্নে সহযোগিতা, সমন্বয় ও আলোচনার জোরদারের জন্য আমাদের তুরস্কের অংশীদারদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.