সাবেক এসপি বাবুল আক্তার পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া, খাইরুল ইসলাম কালু, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও সাইদুল ইসলাম শিকদার সাকু।

পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে তার বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫। মামলাটি তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বলেন, বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পিবিআই সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত আজ বুধবার বেলা ৩ টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে বাবুলের পক্ষে দাঁড়ান আইনজীবী আরিফুর রহমান। তিনি রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। আদালত আসামিপক্ষের সেই আবেদন নাকচ করে দেন।

বাবুলের আইনজীবী আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মামলার বাদী ছিলাম। পুলিশ যথাযথ তদন্ত না করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আমরা ঘটনার শিকার। উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি সেখানে ন্যায়বিচার পাব।’

মামলা করার পর বাদী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন- ২০১৩ সালে বাবুলের পোস্টিং কক্সবাজারে থাকার সময় এনজিও কর্মী গায়েত্রী অমরসিংয়ের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এটা মিতু জানতে পারায় সাঙ্গ-পাঙ্গদের দিয়ে তাকে হত্যা করেন বাবুল।

এর আগে মঙ্গলবার মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআইতে ডাকা হয়েছিল। এরপর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মিতু হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এর আগে সেটি নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করেছিল। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলা তদন্তের ভার পিবিআইকে দেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.