ডেস্ক নিউজ: রাজধানীর মিরপুরে ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. মানিক (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সে সাবেক এমপি এমএ আউয়ালের ভাড়াটে কিলার ছিল বলে র্যাব জানিয়েছে। গত ১৬ মে পল্লবীতে শিশু সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি ছিল মানিক। একটি ভিডিওতে তাকে সাহিনুদ্দিনকে নৃশংসভাবে চাপাতি দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায়।
র্যাব বলছে, এমএ আউয়ালের নির্দেশেই সুমন নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করা হয়। আউয়াল কিলারদের টাকা দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
শুক্রবার (২১ মে) সকালে র্যাব-৪ অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যান র্যাব সদস্যরা। সেখানে সাহিনুদ্দিন হত্যার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন আসামি অবস্থান করছিল। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি চালাতে শুরু করে। র্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান। পরে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানা যায় তার নাম মানিক। সে পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি।
এর আগে ২০ মে র্যাব সাবেক এমপি আউয়ালসহ তিন জনকে এবং ডিবি ও থানা পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের মিডিয়া উইং পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এমপি আউয়ালের নির্দেশে সুমনের নেতৃত্বে সাহিনুদ্দিনকে খুন করা হয়। হত্যার জন্য আউয়াল কিলারদের টাকা দিয়েছে। তার কলাবাগানের অফিসে কিলারদের সঙ্গে বৈঠক করে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলাটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগ তদন্ত করছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.